মোঃ তাহেরুল ইসলাম (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা নদীর পূর্বপাশ সংলগ্ন ২নং বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা ও দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত।

০৬ জানুয়ারী (বুধবার) সকাল ৮ টায় সরে জমিনে দেখা যায়, তীব্র শীত উপেক্ষা করে আগাম বোরো ধানের চারা রোপনের জন্য স্থানীয় শ্রমজীবি শ্রমিকরা ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ, ধানের চারা উঠানো, জমিতে মই টানা, কোদাল দ্বারা আইল ছাটানোর কাজ করছেন। স্থানীয় কৃষক আব্দুল হামিদ নিজের পাঁচ বিঘা জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করে।

তিনি বলেন গত বছরের চেয়ে এবারে বোরো ধানের আবাদে খরচ বেশি। ট্রাক্টরের ভাড়া, শ্রমিকের দাম, সার, কীটনাশক সহ সেচমুল্য উর্দ্ধগতি। আমাদের জমিগুলো নিচু, এক ফসল ছাড়া দুই ফসল ঘরে তুলতে পারি না তাই আগাম হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করছি। কৃষক ওয়াহেদ আলী জানান প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষে বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা মাইঝালীর ডাঙ্গা গ্রামের কচুবাড়ীর দলায় অবস্থিত বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। বাঁধটি মেরামত না হওয়ায় নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না।

বোরো ধান কর্তনের সময় বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। তাই পৌষ মাসের মাঝামাঝিতে আগাম ধান রোপন করছি। স্থানীয় জমির মালিক বকুল হোসেন জানান, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুড়ি তিস্তা নদীটি খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন করলে এ এলাকার কৃষকেরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি এ এলাকার কৃষকের ফসলি জমি বাড়বে। এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, কৃষকেরা আমাদের প্রান।

কৃষকেরা তীব্র শীত উপক্ষো করে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত। এ উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কৃষিবীদ সহিদুল ইসলাম ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার নাজমুল হক বলেন, ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিস হইতে কৃষকদের তীব্র শীতে চলতি বোরো মৌসুমে সর্বাত্মক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে। স্থানীয় কৃষকেরা এ উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।