বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের বাঘারপাড়ায় তালিকাভুক্ত তিন নারী বীরমুক্তিযোদ্ধার একজন চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। সোমবার সকালে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ গ্রাম ইন্দ্রায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
বন্ধুকধারি এ নারী বীরমুক্তিযোদ্ধার নাম হালিমা খাতুন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের ইন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুকালে ছেলে ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণাগ্রহি রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে হালিমা খাতুনের স্বামী আতিয়ার রহমানকে হারিয়ে বাবার বাড়ি ইন্দ্রা গ্রামে বসবাস করছিলেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ্যজনিত কারণে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন হালিমা খাতুন। রোববার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সকাল ৯ টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার বাড়ি আর হালিমা খাতুনের বাড়ি পাশাপাশি। তিনি সাহসী মেয়ে ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। পুরুষ মানুষের মতো দূরদর্শী ছিলেন। দুঃখের বিষয় এই ইন্দ্রা গ্রামে ২ জন নারী বীরমুক্তিযোদ্ধা থেকে আমরা একজন নারী বীরমুক্তিযোদ্ধাকে হারালাম।
বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গার্ড অব অনারে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা জান্নাত। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী, সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ খন্দকার প্রমুখ। পরে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বাঘারপাড়া উপজেলার ইন্দ্রা গ্রামে ফতেমা খাতুন ও মালঞ্চি গ্রামে রোকেয়া খাতুন নামের তালিকাভুক্ত আরো দু’জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।
বাঘারপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের বাঘারপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রনজিৎ কুমার রায় এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আতিয়ার রহমান সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সরদার, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা, সাবেক চেয়ারম্যান সুভাষ দেবনাথ অভিরাম, আওয়ামী লীগ নেতা শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মিজানুর রহমান, কাওসার পারভেজ, মোহাম্মদ আলী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন নান্নু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আওয়াল সরদার, রজিবুল ইসলাম, টিপু সুলতান প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।