নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতে প্রধানমন্ত্রীকে জয় উপহার দিতে চান মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে আলী আহমদ চুনকা প্রতিষ্ঠিত স্কুল শিশুবাগ বিদ্যালয়, দেওভোগ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, যদি সুষ্ঠু ভোট হয় শেষ পর্যন্ত তাহলে আমি আশা করি বিপুল ভোট পাবো। কারণ নারায়ণগঞ্জের মানুষ চায় নৌকার জয় হোক।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সহযোগিতা করে। আমি শুধু আমার কথা বলছি না, সবার কথাই বলছি। আমি জানি নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকেই বেছে নিয়েছে, নিজেরা নির্ধারণ করে ফেলেছে কাকে ভোট দেবে। ইনশাআল্লাহ নৌকার জয় হবেই হবে, আইভীর জয় হবেই হবে। গণজোয়ারের জয় হবেই হবে।
তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সতর্ক নজরদারির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফলাফল যাই হোক মেনে নেব। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে তৈমূর আলমের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ দলীয় গত দুইবারের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর।
মেয়র পদে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
প্রচারণার ১৮ দিনে কোথাও কোনো সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ২০ লাখ বাসিন্দার সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।