বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সরকার বনের দস্যুতা দূর করার জন্য আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের পুনর্বাসন ও বনের অপরাধ দমনের উদ্যোগের পাশাপাশি সেখানে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিজ দপ্তরে উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা সুন্দরবনের নদ-নদী, খাল ও চ্যানেলগুলো বন্ধ করে চিংড়ি চাষ করায় সেখানকার পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার এই নদ-নদী ও খাল পুনর্খনন করে নাব্যতা বৃদ্ধি করেছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি রয়েলে বেঙ্গল টাইগার সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলীয় জনপদকে রক্ষায় কর্মপরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাক্ষাতকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’-এর নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান বলেন, জলবায়ূ পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশী পড়েছে উপকূলের জীবন-জীবিকার উপর। কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে কৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে। এতে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। যা সুন্দরবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাগুলো কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাক্ষাতকালে আরো উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সাংবাদিক সাকিলা পারভীন, সুশীলনের সহকারী পরিচালক শাহিনা পারভীন, সচেতন সংস্থার মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।
এ সময় মন্ত্রীর কাছে ‘সুশীলন’-এর ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের ক্রেস্ট ও সুভেনীর হস্তান্তর করা হয়। ভার্চুয়ালী আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।