বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বাংলাদেশে গত ৬ ডিসেম্বর সংগ্রহ করা দুইটি নমুনায় প্রথম ধরা পড়ে। জিম্বাবুয়ে ফেরত বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুইজন নারী ক্রিকেটারের ওমিক্রন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় তখন। এরপর ১১ ডিসেম্বর, শনিবার ঢাকার শিশু হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশে প্রথম ওমিক্রনের রোগী ধরা পড়ার কথা জানান।
কিন্তু দেশে প্রথমবারের মতো ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল এর প্রায় মাস খানেক আগেই। বিএসএমএমইউ’র নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্যে দেখা যায়, গত ১৪ নভেম্বর সংগ্রহ করা একটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ডিসেম্বর নয়, গত নভেম্বর মাসেই দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল। জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট জিনব্যাংকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিএসএমএমইউয়ে সিকোয়েন্সিং করা সেই নমুনাটি সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ১৪ নভেম্বর। ওয়েবসাইটের তথ্য আরও বলছে, ১৪ নভেম্বরই কেবল নয়, এর পরে সংগ্রহ করা আরও নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়েও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পেয়েছে বিএসএমএমইউ।
সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।