ভারতীয় উপমহাদেশে শ্বশুরবাড়িতে জামাইরা একটু বেশিই যত্নআত্তি পেয়ে থাকেন। সেই থেকেই হয়তো এসেছে জামাই আদর কথাটি। সেই জামাই আদর কথাটির মানে এবার হাড়ে হাড়ে বুঝে গেছেন এই যুবক।
লোকে পঞ্চব্যঞ্জন সাজালেও ‘আদর’ করে এই যুবকের পাতে আক্ষরিকভাবেই শ্বশুরবাড়ির মানুষ তুলে দিয়েছেন ৩৫৬টি পদ! বাড়াবাড়ি সেই আদরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরির নরসাপুরম এলাকার সুব্রহ্মণ্যম এবং অন্নপূর্ণার ছেলে সাইকৃষ্ণ তুম্মলাপল্লী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী অত্যম ভেঙ্কটেশ্বর রাও এবং মাধবীর মেয়ে কুন্দবীর বিয়ে ঠিক হয়ে ছিল।
জামাইয়ের পাতে শ্বশুরবাড়ির মানুষ তুলে দিয়েছেন ৩৫৬টি পদ!
জামাইয়ের পাতে শ্বশুরবাড়ির মানুষ তুলে দিয়েছেন ৩৫৬টি পদ!
পৌষ সংক্রান্তিতে হবু জামাইয়ের জন্য রাজকীয় আয়োজন করে কুন্দবীর পরিবার। ওই উৎসবেই কুন্দবী-সাইকৃষ্ণ তুম্মলাপল্লীর বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
কুন্দবীর পরিবারের এক সদস্য ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানান, বছরের ৩৬৫টি দিনকে মাথায় রেখে জামাইয়ের প্রতি ভালোবাসা দেখাতেই ৩৬৫ পদের খাবারের আয়োজন করা হয়।
বিয়ের আগে কনের দাদা অচন্ত গোবিন্দ এবং দাদি নাগমণি এই জমকালো ভোজের আয়োজন করেন। এই জমকালো প্রাক-বিবাহ সংবর্ধনায় বর ও কনে, দুজনের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে কী ছিল এই রাজকীয় মেনুতে? জানা গেছে বিভিন্ন ধরনের ঐহিত্যবাহী তরকারি, ভাত, পুলিহোরা, বিরিয়ানি, ঐতিহ্যবাহী গোদাবরি মিষ্টি, গরম এবং ঠান্ডা পানীয়, বিস্কুট, ফল, কেক পরিবেশন করা হয়েছিল।
এদিকে এই ঘটনা যে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ওই এলাকা ছাপিয়ে নেটমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
কলমকথা/রোজ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।