মোঃ জয়নুল আবেদীন (তুহিন) মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: মিজার্গঞ্জে ডোকলাখী ওপদা সড়কের ৮ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সরকারি গাছ টেন্ডার ছারাই বিক্রি করেছেন বন কর্মকর্তা জহিরুল কবির শাহীন। এলাকাবাসী গাছ হস্তান্তরে বাধা দিলে ওই এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে আসেন মিজার্গঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মর্কতা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস। এছাড়াও ব্যক্তি মালিকানা গাছ না কাটার জন্য ঘুস দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চলছে তোলপার। পরে বন কর্মর্কতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এলাকাবাসীর হট্টগোলে তোপরে মুখে পরেন বন কর্মকর্তা। একই সাথে সত্যতাও মিলে ওই ঘটনার।
জানা যায়, উপকূলীয় বন বিভাগের বাস্তবায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে সবুজ বেষ্টনি প্রকল্পের আওতায় সড়কের উন্নয়নের স্বার্থে ২১০ মিটার রাস্তায় বন বিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির (রেইন্ট্রি, ফলের গাছ, আকাশ মনি, মেহগনি) ১৫৩টি গাছ মার্কিং করে অপসারণের লক্ষে মিজার্গঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যলয় কর্তৃক রেজুলেশন অনুযায়ী টেন্ডার দেয়া হয়। ৫ লক্ষ টাকা মূল্যে ওই গাছ ক্রয় করেন ঠিকাদার মো. আলমগীর হোসেন। তবে অভিযোগ ওঠে মার্কিংবীহিন রাস্তার গাছ বন কর্মকর্তার নিদের্শে কেটে বিক্রির। রেজুলেশন অনুযায়ী ২১০মিটার রাস্তার ১৫৩টি গাছ কাটার কথা কাগজে উল্লেখ থাকলেও অতিরিক্ত ৪০০মিটার রাস্তার বিভিন্ন প্রজাতির ৮ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৬৪টি বড়গাছ কেটে বিক্রি করেন ওই কর্মকর্তা। এর মধ্যে এলাকাবাসীর ব্যাক্তি মালিকানা গাছও কেটে বিক্রি করেন বন কর্মকর্তা।
এলাকাবাসী জানান, বন কর্মকর্তা প্রথমে ব্যাক্তি মালিকানা গাছ না কাটার জন্য ঘুষ দাবী করেন,গাছ কাটার পরে গাছ ব্যাক্তি মালিকদের দিয়ে দেয়ার জন্যও ঘুষ দাবী করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাছ ঠিকাদারের কাছে
হস্তান্তর করেন বন কর্মকর্তা জহিরুল কবির শাহীন।
ওই এলাকার বাসিন্দা শানু মোল্লা, নুর ইসলাম মৃধা, সোহাগ হোসেন বলেন, আমরা গাছ কর্তনে বাধা দিলে আমাদের হুমকীও দেন বন কর্মকর্তা একই সাথে মার্কিংবিহীন গাছ কেটে বিক্রি করেন। আমরা আমাদের রোপিত গাছ ফেরৎ চাই একইসাথে ওই বন কর্মকর্তার শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
ক্রয়কৃত গাছের ঠিকাদার মো. আলমগীর হোসেন বলেন,বন কর্মকর্তা আমাকে যেসকল গাছ চিহ্নিত করে দিয়েছেন আমি সেই সকল গাছই কেটে নিয়েছি। এখানে আমার আর কোন মতামত নেই।
উপজেলা বন কর্মকর্তা জহিরুল কবির শাহীন বলেন, আমি টেন্ডারবিহীন কোন ব্যাক্তিমালিকানা গাছ কর্তন করতে বলিনি তাছারা এলাকায় কারো কাছে ঘুষও দাবি করিনি।
উপজেলা নিবার্হী র্কমর্কতা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, ঘটনাস্থলে এসে বন কর্মকর্তার কাছে কর্তন করা গাছের ব্যাপরে জানতে চাইলে ৬৪টি গাছের হিসেব তিনি দিতে পারেননি। এ বিষয়ে তার ঊর্ধতন কর্তপক্ষকে জানানো হবে। তাছাড়া ঘুষ দাবির বিষয়টির সত্যতা মিলেছে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।