স্বরূপকাঠির দুর্গাকাঠি গ্রামের পরিমল ও কাজল দম্পতি তাদের বিক্রি হওয়া ১৮ দিনের শিশুকন্যাকে কোলে ফিরে পেয়েছেন। স্বরূপকাঠি থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় বিক্রির মধ্যস্থতাকারী আরতী রানি সন্ধ্যার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
১৮ দিনের শিশুকন্যাকে ফিরে পেয়ে মা কাজল রানি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিশু বিক্রির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টাকা আত্মসাৎকারী বিজন হালদার ও তার সহযোগী রনজিত মণ্ডল গা ঢাকা দিয়েছে।
জানা গেছে, পরিমল ব্যাপারীর অভাবের সুযোগ নিয়ে বিজন হালদার ও তার সহযোগী রনজিত মণ্ডল তার ১৮ দিনের শিশুকন্যাকে বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করে। পরিমল ব্যাপারীর অভিযোগ- এক লাখ ৬৫ হাজার টাকায় তার সন্তান বিক্রি করা হলেও তাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকিটা ওই প্রতারকরা আত্মসাৎ করে।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে শিশু বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তৎপর হয়। এ ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন শিশু বিক্রির মধ্যস্থতাকারী ও ক্রেতা দম্পতির আত্মীয় আতা গ্রামের সুকুমার রায়ের স্ত্রী আরতী রানি ওরফে সন্ধ্যা রায়। ওই রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয় নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, উদ্ধার করা শিশুকে তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। শিশু বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলমকথা/রোজ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।