ইসলামে রাতের শেষ ভাগে ইবাদত বন্দেগীর রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। শেষ রাতের তাহাজ্জুদ নামাজকে বলা হয় আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও দোয়া কবুলের উপায়। প্রিয়নবী (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও স্রষ্টার সান্নিধ্যপ্রাপ্ত মনিষীরা রাতের শেষাংশে তাহাজ্জুদ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে কাটাতেন।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে তাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি গভীর রাতে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদতে মশগুল হয়, পরকালের আশঙ্কা রাখে এবং তার পালনকর্তার অনুগ্রহ কামনা করে, সে কি তার সমান যে এরূপ করে না? আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।’ (সুরা জুমআ : আয়াত ৯)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা অবশ্যই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়। এটা তোমাদের পূর্ববর্তী নেক লোকদের পদ্ধতি। এর দ্বারা স্বীয় রবের নৈকট্য লাভ হয় এবং গুনাহ মাফ হয়। (মুসতাদরাকে হাকেম)। গভীর রাতের শেষাংশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ রহমতের সময় হিসেবে বিবেচিত।
কলমকথা/বি সুলতানা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।