জমে ক্ষীর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই দুই প্যানেলের কেউ। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে যে যার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করছেন।

আবেগপ্রবণ হয়ে একাধিক তারকাকে কান্না করতে দেখা গেছে ইতোমধ্যে। চিত্রনায়ক রিয়াজ, নায়িকা নাসরিনের পর এবার কাঁদলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

গত মাসে করোনায় হারানো মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেন এ চিত্রতারকা।

বললেন, ‘আমি যে কত এতিম এখন, বোঝাতে পারব না। আমার মা মারা যাওয়ার আগে বলে গেছেন— তোমার আর বিয়েশাদি লাগবে না, তুমি শিল্পী সমিতি নিয়েই থাকো।’

রোববার বিকালে মিশা-জায়েদ প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার একপর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথা বলেন জায়েদ।

বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘শিল্পী সমিতি এখন আমার ভালোবাসার জায়গা হয়ে গেছে। তাই এত শত্রু। যে শিল্পী সমিতিতে আমি এসে দেখেছি, নিজের টাকা দিয়ে চা খেতে হয়। সেখানে এখন দুটা কফির মেশিন; মিশা-জায়েদ পরিষদের অবদান। তিনটা ফ্রিজ সমিতিতে, একুশটা লাইট জ্বলে। এসব আমরা করেছি। এত কাজ করে অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছি। করোনার সময় এফডিসিতে ১১টা কুকুর আছে, না খেয়ে শুকিয়ে গেছে। সেই কুকুরগুলোকেও রান্না করে নিয়ে খাইয়েছি। আমি জীবনটা দিয়ে দিয়েছি এই শিল্পী সমিতির জন্য।’

প্রসঙ্গত মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের প্যানেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গত দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছে। দুবারই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন জায়েদ। এবারও গত মেয়াদের সভাপতি মিশা সওদাগরের সঙ্গে যৌথভাবে প্যানেল গঠন করেছেন জায়েদ। তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে এবার ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেল। আগামী ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।

কলমকথা/রোজ