লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর খাটামারী গ্রাম। এ গ্রামের চলাচলের রাস্তাটি ভেঙে গেছে বছর দশেক আগে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি। সংস্কারে এগিয়ে আসেননি কেউ।
বাধ্য হয়ে এখন এলাকাবাসী নিজেরাই রাস্তা নির্মাণ করছেন। ভোর রাতে তাদেরকে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করতে দেখা যায়। চলে দুপুর পর্যন্ত। দুপুরের পরে তারা হাত দেন পারিবারিক অন্যান্য কাজে।
তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, একটা সময় পাশের রতনাই নদী চরখাটামারীর মামাভাগনে মোড়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। পলি জমে সেখানে এখন সৃষ্টি হয়েছে কয়েকশ একর চাষের জমি। ঠাঁই হয়েছে প্রায় দেড়শ পরিবারের।
এখন নদী না থাকলেও বর্ষাকালে নদী আর বানের পানিতে টইটম্বুর থাকে। চলাচলের উপায় থাকেনা। এখানে প্রায় এক কিলোমিটারের চেয়েও লম্বা রাস্তাটি ভেঙে গেছে বছর দশেক আগে। কয়েকবার এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কাজ হয়নি। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী নিজেরাই নিজেদের রাস্তা নির্মাণে হাত দিয়েছে ৬ দিন হলো। কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আরো কিছু দিন, জানালেন তারা।
চরখাটামারীর নূরনবীর বলেন, আমরা দুর্ভাগা এলাকার মানুষ। মেম্বার-চেয়ারম্যানের সাথে অনেকবার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন হাতে কাজ নেই। কাজ হলে করে দেওয়া হবে। কিন্তু ওরা নজর না দেওয়ার কারণে এলাকার লোকজন মিলে কাজে হাত দিয়েছি।
এখানের মফিজুল ইসলাম বলেন, হামরা কি মানুষ নোমাই। একটু যদি দয়া করি দেখি গেলো হয়। হামার রাস্তাটা করি দেলে হয়।
ইউপি সদস্য সোলায়মান আলী বলেন, আমাকে তারা মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তাদেরকে সময় দিয়েছি। ৪০ দিনের কর্মসুচির মাধ্যমে কাজ করে দিবো। ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিকরা এখন অন্য জায়গায় কাজ করছে। সেই কাজ হলে এখানে কাজ করাবো।
ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রীস আলী বলেন, এলাকাবাসী নিজেরা কাজ করছে, এটা জানা নেই। স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ কেনো! আমার শ্রমিক আছে। এলাকাবাসী আমাকে জানালে কাজ করে দিবো।
কলমকথা/ সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।