বিশ্বজুড়ে মোট মৃত্যুর প্রায় ৩২ শতাংশ হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগের চিকিৎসার অবশ্যই জরুরি, তবে তারও আগে জরুরি এটি প্রতিরোধ করা। আমাদের অসতর্কতা ও খারাপ কিছু অভ্যাসের কারণেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এ অঙ্গটি নাজেহাল হয়ে পড়ে। বেশি দেরি হওয়ার আগেই তাই হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।
সঠিক ডায়েট:
তেলযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাবেন না। বিশেষ করে লাল মাংস ও এতে থাকা চর্বি হার্টের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন তেল যেমন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মাসে আধা লিটার খেতে পারেন একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ- এমনটা জানিয়েছেন ব্যাঙ্গালোরের ডাক্তার রাজপাল সিং। এছাড়া ডায়েট মেন্যুতে প্রচুর সবুজ রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম খান প্রতিদিন। প্রোটিন ও ফাইবার খাওয়াও জরুরি।
প্রতিদিন ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন:
অলসতার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। নিয়মিত ব্যায়াম হার্টের জন্য এক ধরনের ইনস্যুরেন্স পলিসি। সপ্তাহে ৫ দিন ৪০ মিনিট করে ব্যায়াম করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায় ৩০ শতাংশ। পাশাপাশি বাড়তি ওজন, রক্তে চিনির পরিমাণ ও কোলেস্টেরল কমে।
ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস বাদ দিন:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হৃদরোগের প্রধান কারণ ধূমপান ও মদ্যপান। এসব অভ্যাস থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে অন্তত ৫০ শতাংশ। এছাড়া হাইপারটেনশন, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন ও পর্যাপ্ত ঘুমান:
পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ভালো রাখে হার্ট। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। পাশাপাশি হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। হাসলে শরীরে এক ধরনের হরমোনের নিঃসরণ হয় যা রক্তচাপ কমায় ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে হার্ট ভালো থাকে।
নিয়মিত চেকআপ করুন:
ওজন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ব্লাড কাউন্ট, কিডনি, লিভার ও থাইরয়েড নির্দিষ্ট সময় পর পর চেক করুন। ইসিজি ও ডায়াবেটিসও চেকআপ করুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।