অনেকে বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে বুঝতে পারছেন না এবং এমন একটা সময় যাচ্ছে, যখন আসলে চিকিৎসা হলেও সেটা সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না অনেক ক্ষেত্রে।

যৌনবাহিত রোগের নমুনা

নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে যৌন সমস্যা সম্পর্কে বলেছেন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেহরান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।

যৌনবাহিত রোগ কীভাবে ছড়ায়, উপসর্গ কী; সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মেহরান হোসেন বলেন, যৌনবাহিত রোগ দুভাবে ছড়ায়। অবাধে মেলামেশার মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এ ছাড়া অনপ্রোটেকটেড সেক্স, যেটা হচ্ছে যে প্রোটেকশন ছাড়াই যে মেলামেশা, সেটার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। পার্টনারের অসুখ আছে কি নেই, সেটা আমরা অনেক সময় বিবেচনা করি না বা সেটাকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। আমাদের দেশে অনেক সোশ্যাল ট্যাবু থাকে, যে কারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। যেমন বিয়ের আগে আমাদের দেশে কারও থ্যালাসেমিয়া আছে কি না বা এইচআইভি টেস্ট করা, হেপাটাইসিস বি, সি টেস্ট করা—এগুলো আমাদের প্রচলনের মধ্যে নেই।

বিয়ের আগে কোন কোন পরীক্ষা করা দরকার? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মেহরান হোসেন বলেন, সিফিলিস বা গনোরিয়ার কিছু লক্ষণ থাকে, যেমন সিফিলিসে ঘায়ের মতো হয়। গনোরিয়াতে এক ধরনের ডিসচার্জ হয় সাদা সাদা। ওই লক্ষণ না থাকলে পরীক্ষা করার আসলে প্রয়োজন নেই। আর যদি হিস্ট্রি না থাকে। কোনও মেলামেশার হিস্ট্রি যদি প্রিভিয়াসলি না থাকে, তাহলে ওই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই। তবে এইচআইভি সব সময় যে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড তা কিন্তু নয়। কেউ ব্লাড নিল, ব্লাডের মাধ্যমে তা ছড়াল; সে যখন তার পার্টনারের সঙ্গে মেলামেশা করবে, তখন তার পার্টনার অনেক রিস্কে থাকবে। এ জন্য আমি বলব যে হেপাটাইসিস, এইচআইভি—এগুলো অন্তত পরীক্ষা করা দরকার