প্রতিদিনই বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। এর উপসর্গ মৃদু হলেও বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রনকে হালকাভাবে না দেখতে বলেছেন। যারা করোনা পজিটিভ হচ্ছে তাদের বেশির ভাগেরই ঠাণ্ডা লাগছে। এ জন্য আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং আইসোলেটেড থাকার প্রতি জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডেল্টার সাথে তুলনা করলে ওমিক্রন হাসপাতালে যাওয়ার সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা দুই কম। তবু ডেল্টার তুলনায় চার গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। ঠাণ্ডা ওমিক্রনের প্রধান লক্ষণ হলেও অনেকের কাছে আরো একটি লক্ষণের কথা শোনা যাচ্ছে।

ওমিক্রন সংক্রমণ কেমন?

শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের উচ্চ সংক্রামকতার হার রয়েছে । প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন ভেরিয়েন্টটি মৃদু। হালকা জ্বর, ঘামাচি, শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, রাতের ঘাম, বমি এবং ক্ষুধামান্দ্যর মতো লক্ষণগুলো শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোটজি, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন নির্ণয় করেছিলেন তিনি বলেছেন, রোগীদের গন্ধ এবং স্বাদ চলে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। স্বাদ, এ ছাড়া সংক্রমিত ওমিক্রন রোগীদের মধ্যে নাক বন্ধ বা খুব বেশি তাপমাত্রার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা ওমিক্রন এবং ডেল্টার মধ্যে একটি দুর্দান্ত পার্থক্য হতে পারে।

এই দুটি উপসর্গ থেকে সাবধান

দ্য সানের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, দুটি প্রধান ওমিক্রনের লক্ষণ হলো একটি সর্দি এবং মাথা ব্যথা।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এপিডেমিওলজি এবং হেলথ ইনফরমেটিকসের অধ্যাপক আইরিন পিটারসন বলেন, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং মাথা ব্যথা অন্য অনেক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে, তবে সেগুলো কভিড বা ওমিক্রনের লক্ষণও হতে পারে।

চিকিৎসকের মতে, ওমিক্রনের প্রায় ২০টি উপসর্গ রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে সর্দি এবং মাথা ব্যথা সবচেয়ে সাধারণ। তিনি এই লক্ষণগুলোতে ভুগছে এমন রোগীদের নিয়মিত সর্দি হিসেবে গণ্য না করার পরিবর্তে অবিলম্বে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যান্য লক্ষণ

গবেষণায় ওমিক্রনের অন্য পাঁচটি বিশিষ্ট উপসর্গ, যেমন নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি এবং গলা ব্যথার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।

এ ছাড়া রাতে ঘাম, ক্ষুধা হ্রাস এবং বমি হওয়া এমন কিছু লক্ষণও লক্ষ করা গেছে রোগীদের মধ্যে।

ওমিক্রনের যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত পরীক্ষা করতে হবে। পজিটিভ হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।

সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া