মধ্য এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগী
বিশ্বের মধ্য এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জনসংখ্যা, জীবনযাপন এবং খাদ্যাভাসের কারণে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ সম্মেলন শুক্রবার রাতে শেষ হওয়া সম্মেলনে একথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে ডায়াবেটিস রোগীর ব্যবস্থাপনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, গবেষণায় পাওয়া গেছে, উন্নয়নশীল দেশের জন্য টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের ব্যবস্থাপনা একটি বড় বাধা। এর কারণ হিসেবে দেখা যায় অনেক উন্নয়নশীল দেশেই অল্প কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রয়েছেন যারা ডায়াবেটিস ও অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজি বিষয়ে অভিজ্ঞ। সেইসঙ্গে মুখে খাওয়ার ওষুধের স্বল্পতা, ইনসুলিন, ইঞ্জেকশন ডিভাইস এবং নিয়মিত ব্লাড সুগার পর্যবেক্ষণের ঘাটতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
রোগীর যদি ইনসুলিন বা ইনজেকশন কেনার সামর্থ্য না থাকে তবে টাইপ-১ ডায়াবেটিস মৃত্যুরও কারণ হতে পারে জানান ডা. শাহজাদা সেলিম।
তিনি বলেন, মধ্য এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জনসংখ্যা, জীবন প্রণালী ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীর বোঝাও দিনে দিনে বাড়ছে। ২০০০ সালের চেয়ে যা বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা ৭৮ শতাংশে পৌঁছাবে।
সম্মেলনের এই সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো শারফুদ্দীন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালটির নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবু নাসের রিজভী।
ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ কারণ ও প্রতিকার জানতে পরবর্তী আপডেটের জন্য অপেক্ষা করুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।