যশোরের বসুন্দিয়া থেকে মণিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবিতে মণিরামপুর
রিপোর্টার্স ক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন হয়েছে। আজ পহেলা ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মণিরামপুর উপজেলার সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধন সফল করতে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র প্রণেতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ শাহ্ জালাল ক্লাবের আহবায়ক সুমন চক্রবর্তী , যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী ও সকল সদস্যদের নিয়ে সপ্তাহ জুড়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে মানববন্ধনের আহবান করেন। এতে সাড়া দিয়ে শতশত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দলে দলে যোগদেয়। ক্লাবের আহবায়ক সুমন চক্রবর্তী সভাপতিত্বে ও রাশেদ আলী উপস্থাপনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, পৌর যুবলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম- আহবায়ক ফজলুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী, রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক টিপু সুলতান, অজেদ আলী, এইচ এম বাবুল আক্তার, জেমস রহিম রানা, হাফেজ মোঃ আব্দুল আল মামুন, মারিয়া রহমান, বিথীকা সুলতানা, মাসুমা আক্তার মিথিলা, তহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, সাথী চক্রবর্তী এফএসডিও সভাপতি দেব বিশ্বাস বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবী সংস্থা বন্ধন এর সভাপতি মুরশিদ হাসান ইমন, সাংবাদিক সোহাগ হাসান লিপু প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি নাভারন থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার কাজ অতি দ্রুত শুরু হবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু, বসুন্দিয়া, যশোর, নাভারন হয়ে রেল সাতক্ষীরা যাবে। বসুন্দিয়া থেকে সাতক্ষীরার দূরত্ব হবে ৯২ কিলোমিটার। কিন্তু এই রেলপথটি পরিবর্তন করে বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা নির্মাণ করা হলে বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দূরত্ব হবে মাত্র ৪৯ কিলোমিটার। তখন রেলপথের দূরত্ব কমবে ৪৩ কিলোমিটার।

অতিরিক্ত কোনো অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র সমীক্ষা ব্যয়টুকু বেশি হবে। এতে যশোরের সবকটি উপজেলা রেলপথ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। তাই সমাবেশে অবিলম্বে বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবি জানানো হয়। এবং মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।