প্রতিবছর শীত মৌসুমে দূরদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নেয়। প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচতে ও খাদ্যের সন্ধানে সুদূর সাইবেরিয়াসহ মধ্য ও উত্তর এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এসব পাখি আসে।

এসব পাখির অনেকগুলো আর ফিরে যেতে পারে না। নিষ্ঠুর পাখি শিকারিদের হাতে মারা পড়ে।

বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা বিভিন্ন বিলে আসা পাখিদের সঙ্গে এখন ঠিক এ রকম ঘটনা ঘটছে। এসব পাখি শিকারিদের বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসছে না।

জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের আধবিল, কচিয়ারবিল, সুঘাট ইউনিয়নের জয়বিল, খামারকান্দি ইউনিয়নের বড়বিলাসহ বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ের জমিতে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি নিধন করছেন শিকারিরা।

গভীর রাতে স্থানীয় কিছু শিকারি জমিতে ঘাস নির্মূলের নামে অথবা মাছ শিকারের নামে বিলের জমিতে এক ধরনের কীটনাশক ছিটিয়ে দেন। অতিথি পাখি, ভোরের বক, পাখি ও হাঁস খাবারের খোঁজে বিলে নামে। তখন কীটনাশক খেয়ে তারা মারা যায়।

পরে শিকারিরা সেগুলো কুড়িয়ে গলা কেটে বস্তায় ভরে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও লোকজনের কাছে বিক্রি করেন।

যে পাখিরা শুধু জীবন ও খাদ্যের সন্ধানে আমাদের দেশে আসে, লোভের বশবর্তী হয়ে কিছু লোক সেই পাখিদেরই হত্যা করছে।

২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড।

একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ আইনের কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, পাখি শিকার করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। একটি অসাধু মহল এই ধরনের কাজ করছে।

প্রশাসনের পাশাপাশি সর্ব সাধারণকেও সজাগ থাকতে হবে যেন কেউ পাখি শিকার না করে।

যদি কেউ আইন অমান্য করে পাখি শিকার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে