বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া সদস্য পদপ্রার্থী চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল করে নাদির খানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন না জায়েদ খান ও চুন্নু।
এ ঘটনায় যখন এফডিসিপাড়ায় উত্তেজনা বইছে তখন আপিল বোর্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এবারের নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুন।
তার মতে, এই আপিল বোর্ড অকার্যকর, এমন রায় দিতে তারা দিতে পারে না।
সেই রায় পড়ার সময় পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলেন সোহানুর রহমান সোহান। সে প্রসঙ্গেও নিজের বক্তব্য দেন পীরজাদা।
রায়ে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা পর শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের পীরজাদা হারুন বলেন, ‘আপিল বোর্ডের ব্যাপারে আমি শুনেছি। কিন্তু ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর এই আপিল বোর্ড অকার্যকর। তফসিল অনুসারে, ৩০ তারিখের পর নির্বাচন কমিশনারও অকার্যকর। আজকে আপিল বোর্ড যে রায় দিয়েছে, তা তারা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।’
অভিযোগের বিষয়ে হারুন বলেন, ‘সোহানুর রহমান সোহানের এই বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদ থাকছে কি না, তা নিয়ে পরিচালক সমিতির কক্ষে শনিবার বিকেলে আপিল বোর্ডের সভা শুরু হয়।
সভা শেষে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে পীরজাদা হারুনের ওপর গুরুতর সব অভিযোগ আনেন সোহানুর রহমান সোহান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুণ পক্ষপাতদুষ্ট। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান এবং সদস্য পদপ্রার্থী চুন্নু তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েক জন সদস্য তাদের টাকা প্রদানের বিষয়টি মৌখিকভাবে স্বীকার করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। অপর ১৬৩ ভোট পাওয়া সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।