বেসামরিক নাগরিকদের অপরহণ করে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদেরকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এছাড়া বেসরকারি নাগরিকদের বাড়িঘর ও গির্জায় হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সেনারা। দেশের পূর্বাঞ্চলে মিয়ানমার সরকারের এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের সমপর্যায়ের।
মিয়ানমারভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ফোর্টিফাই রাইটস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে যাওয়া ৩০ জনের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় কারেন্নি রাজ্যে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড সংঘর্ষ হচ্ছে। রাজ্যটিতে বিরোধীরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন্নি রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একই পরিস্থিতি চীন রাজ্যেও।
মো বায়ে শহরতলীর ১৮ বছরের এক তরুণ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২১ সালের জুনে কারেন্নি ও শান রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চাচা ও অন্য দুজনের সঙ্গে তাকে ধরে নিয়ে সেনারা। তাদেরকে স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে সেনারা মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। চার দিন আটক থাকার পর তারা পালাতে সক্ষম হয়। ওই চার দিন তাদের চোখ ও হাত-পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল।
আরেক সাক্ষাৎকার দানকারী জানিয়েছেন, তাকে ও আরও ৯ জনকে সেনারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে তাদের সবাইকে দিয়ে পাঁচ দিন সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম টানানো হয়।
কারেন্নি নাগরিক সমাজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত বছর সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর রাজ্যের প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জাতিসংঘের হিসেবে, রাজ্যটির ৯১ হাজার ৯০০ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।