দিনাজপুরের হিলির পাইকারি বাজারে হোলেন্ডার আলু সাড়ে ৬ টাকা আর দেশি লাল আলু ৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা হোলেন্ডার আলু কেজিপতি ৮ টাকা ও দেশি লাল আলু ১০ টাকায় বিক্রি করছেন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে হিলি সবজি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর পাইকারি দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। গেলো সপ্তাহে হওয়া বৃষ্টির কারণে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। এদিকে বাজারে উঠা সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান,বৃষ্টির কারণে আলু ক্ষেতে পানি জমেছে প্রয়োজনের তুলোনায় অনেক। বেশি পানির কারণে আলুতে পচন ধরেছে। তাই তাড়াহুড়া করে জমি থেকে আলু তুলে বাজারে আনছেন চাষিরা। এসব আলু কয়েক সপ্তাহ মাটিতে শুষ্ক অবস্থায় রাখতে পারলে তা স্টোরজাত করা যেতো।
হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা আইজার রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে অনেক বেড়েছে। তবে আলুর দাম অনেক কম।’
মুকুল হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘আলু তো সব তরকারিতে লাগে। তাই দামটা অনেক কম, এই জন্য আলুই বেশি করে নিলাম।’
হিলি বাজারে খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমরা দেশি লাল আলু ৮ টাকা পাইকারি নিয়ে তা ১০ টাকা খুচরা বিক্রি করছি। আবার হোলেন্ডার আলু ৮ থেকে ৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
আলুর পাইকারি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ‘একদিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা আলু জমিতে রাখতে পারছেন না। তাই তারা দ্রুত জমি থেকে আলু তুলে বাজারে নিয়ে আসছেন। আমরা হোলেন্ডার জাতে আলু সাড়ে ৬ টাকা দরে কৃষকদের কাছ থেকে নিয়ে ৮ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করছি। আর দেশি লাল আলু ৮ টাকা পাইকারি নিয়ে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
পাঁচবিবি থেকে আসা আলু চাষি গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে এবার আলুর চাষ করেছি। এক বিঘাতে আগাম আলু চাষ করেছিলাম। প্রথমে মণ প্রতি ভালোই দাম পেয়েছি। কিন্তু বাকি এক বিঘা জমির আলু স্টরে রাখতে পারলাম না। একদিনের বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমেছে। তাই তাড়াতাড়ি আলু তুলে তা বাজারে নিয়ে আসলাম।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।