রিজিক নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছি।কিন্তু রিজিকের মালিক আল্লাহ। তাকেই আমরা স্মরণ করি না!রিজিক শব্দের মানে হলো অর্থ, ধন, টাকা, কিন্তু সব ক্ষেত্রে রিজিক মানে টাকা হয়না, রিজিক মানে সু-স্বাস্থ্য, ভালো পরিবার, ভালো খাওয়া, ভালো পড়া হয়।

আমাদের প্রতিপালক সর্ব জাহানের মালিক মহান রাব্বুল আলামীন এর আর এক নাম আর রাজ্জাক( রিজিক দাতা)। আল্লাহ তাআলা নিজে গণ্য করেছেন তিনি রিজিক দাতা। অর্থাৎ তিনি তার সৃষ্টি কুলের বান্দা দের রিজিক দান করে। কিন্তু মানুষ রিজিকের পিছনে দৌড়াই,ভুলে যাই রিজিক দাতা কে। এই দুনিয়ার মহে,ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে যায় আদম সন্তান! রিজিকের পিছনে ধর্না দেই মনুষ্যকুলকে,কিন্তু একবারের জন্যও শরণাপন্ন হয়না তার মালিক রাজ্জাক(আল্লাহ)র কাছে।

কিন্তু মহান রাব্বুল আলামীন কুরআন শরীফে নিজে ঘোষণা দিয়েছেন‘পৃথিবীতে বিচরণশীল সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তাঁর নিজের ওপর ন্যস্ত করেছেন। (সূরা হুদ, আয়াত ৬)’

রিজিকের মালিক আল্লাহ হলে আমাদের করণীয় কি?

রিজিকের জন্য আমরা শুধু মাত্র বিভিন্ন পন্থা আর কৌশল অবলম্বন করতে পারি!আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রিজিক বাড়িয়ে দেয়, যাকে ইচ্ছা রিজিক কমিয়ে দেয়। হালাল পথে টাকা উপার্জন করলে আল্লাহ তাআলা তার মধ্যে আরো বরকত ঢেলে দেই। আবার হারাম পথে অর্থ উপার্জন করলে,আল্লাহ তাআলা সেই উপার্জন বেশি দিন স্থায়ী করেন না!আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করেন(হে মুমিনগণ!তোমাদেরকে আমরা যেসব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা থেকে খাও (১) এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, যদি তোমরা শুধু তারই ইবাদাত কর) (সূরা বাকারা ১৭২ আয়াত)।

উল্লেখিত আয়াত সমূহে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের যেই ভাবে হারাম খাওয়া ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঠিক সমান ভাবে হালাল খাওয়া,পরা,অর্থকে গ্রহণ করতে বলেছে এবং শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে বলেছেন।

আল্লাহ তাআলা রিজিক নিয়েও আমাদের পরীক্ষা নেন। কখনো রিজিক বাড়িয়ে দেই ,আবার কখনো রিজিক কমিয়ে দেয়! যাকে ইচ্ছা রিজিক বাড়িয়ে দেয়,আবার যাকে ইচ্ছা রিজিক কমিয়ে দেয়! কিন্তু এই সময় হাল ছাড়লে হবে না,আমাদের ভালো খারাপ দুটো অবস্থাতেই আল্লাহ পাকের ওপর আস্থা রাখতে হবে!এটাই হয়ে যায় ঈমানের পরীক্ষা।

আল্লাহ পাক সৃষ্টির কোনো কিছুর মধ্যে ভুল ত্রুটি নেই। আল্লাহ মানুষ সৃষ্ঠি করেছে তার ইবাদত করার জন্য,প্রতিটা অবস্থাতে আল্লাহ পাকের পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্য,সুতারাং আমাদের করনীয় হলো আল্লাহ পাকের ইবাদতের সাথে সাথে,হালাল রিজিকের সন্ধান চালিয়ে যাওয়া,আর পবিত্র সত্তার ওপর প্রবল বিশ্বাস রাখা!আপনার বিশ্বাস আর ইয়াকিন সঠিক থাকলে ইন শা আল্লাহ আপনার রিজিকের বরকত দান হবে!এই নিয়ে একটা কথা না বললেই নয়-যে ব্যক্তি প্রতহ মাগরিব বাদ খালেশ অন্তরে প্রবিত্রতা ও ইয়াকিন এর সাথে সূরা ওয়াকিয়া পড়বে তাকে কোনো দিন দারিদ্র্যতা স্পর্শ করবে না!