মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগে থাকেন অনেকেই। ঠাণ্ডার কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। শীতের সময় ঠাণ্ডা যেন না লাগে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
মাইগ্রেনের ব্যথা পুরোপুরি নিরাময় হয় না। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে এ ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণ মাথাব্যথার মতোই। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা কিনা তা বুঝতে কিছুটা সময় লেগে যায়।
মাথার যে কোনো এক পাশ থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় এই ব্যথা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা খুবই কষ্টদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী।
মাইগ্রেন কী?
মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত কপালের এক পাশে হয়ে থাকে। আর এই ব্যথা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে বমিভাব কিংবা বমি, আলো বা শব্দে খারাপ লাগা। ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যথা থাকতে পারে।
মাইগ্রেন সমস্যা হলে চোখের সামনে আলোজাতীয় কিছু দেখা, শরীরের এক পাশ ঝিনঝিন করার সমস্যা হতে পারে।
পনির, চকলেট, কফি, অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, দুর্গন্ধ, দীর্ঘসময় খালি পেটে থাকা, অতিরিক্ত আলো বা রোদ কিংবা খুব কম আলো, অতিরিক্ত শব্দ কানে এলে এ সমস্যা হতে পারে।
মাইগ্রেনের উপসর্গ
মাইগ্রেনের সমস্যা হলে মাথার ভেতরে ব্যথা হয়। এই ব্যথা সাধারণত মাথার একদিকে হয়, ডান অথবা বাঁ। তবে অনেক সময় মাথার দুদিকেই ব্যথা হতে পারে ও বমি ভাব থাকতে পারে।মাইগ্রেনের ব্যথা পুরোপুরি নিরাময় হয় না। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে এ ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ব্যথা কেন হয়?
চোখ, কান, নাক ও চোয়ালের জয়েন্টে সমস্যা, দুশ্চিন্তা, ব্রেইন টিউমার, মাইগ্রেন, ঘুম কম হওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে বসে থাকাসহ অনেক কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে মস্তিষ্কের পর্দা বা মেনিনজেসে কোনো সমস্যা হলে মাথার হাড়ের মধ্যকার সাইনাসে প্রদাহ (সাইনোসাইটিস) হলে কিংবা মস্তিষ্কের রক্তনালিতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
করোনা রোগীও নানা কারণে মাথাব্যথায় ভুগতে পারেন। শরীরে নানা জীবাণুর সংক্রমণেই হতে পারে মাথাব্যথা।
কী করবেন
মাথাব্যথা হলে আমরা সাধারণ নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। তবে এর আগে একবার চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তিনিই সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।