কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বাজে অভ্যাস। সাধরণত নিচু মন-মানসিকতার ও ছোটলোক প্রকৃতির মানুষ এই ঘৃণিত কাজে জড়িত থাকে। অন্যকে ছোট করে সাময়িক মনে মনে সুখ পেলেও দিনশেষে নিজের ক্ষতি করে তারা।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এই নোংরা ও ঘৃণিত কাজ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এসব কাজকে নিকৃষ্ট বলে ঘোষণাও দিয়েছেন। ফলে কোনো মুমিন কখনো এসব কাজে লিপ্ত হতে পারে না।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, কোনো সমপ্রদায় যেন অন্য কোনো সমপ্রদায়কে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতই না নিকৃষ্ট! আর যারা তাওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১১)

বিদ্রুপ করা মন্দ লোকদের কাজ

মহানবী (সা.) এসবের ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন। তিনি অন্যকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, ঠাট্টা-বিদ্রুপ করাকে মন্দ লোকদের কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এসব অভ্যাসকে মন্দ লোক চেনার মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির মন্দ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে সে তার অন্য মুসলমান ভাইকে তুচ্ছজ্ঞান করে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২১৩)

অতএব আমাদের উচিত, এসব মন্দ অভ্যাস ত্যাগ করা। অতীতে না জেনে এসবে লিপ্ত হয়ে থাকলে আল্লাহর কাছে তাওবা করা, যাতে পরকালে এর জন্য অনুতপ্ত হতে না হয়; যখন অনুতপ্ত হয়ে কিছু করার থাকবে না। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যাতে কাউকেও বলতে না হয়, হায় আফসোস! আল্লাহর প্রতি আমার কর্তব্যে আমি যে শৈথিল্য করেছি তার জন্য! আর আমি তো ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৫৬)