ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে একটি বিমানঘাঁটি দখল করে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের সেনাবাহিনী কিয়েভের কাছে কিয়েভ হস্তমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার মুহুর্মুহু বিমান হামলায় কেঁপে উঠছে রাজধানী কিয়েভ। ইউক্রেনের সেনারা বুক চিতিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে।
কিয়েভের মেয়র সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন বক্সার ভিটালি ক্লিসকো সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করেছেন নগরবাসীকে।
এদিকে পুতিন ইউক্রেনের সেনাসদস্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং দেশটির শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে বলেছেন।
কিন্তু ইউক্রেনের সেনাবাহিনী লড়াই করে মরতে প্রস্তুত, কিন্তু দেশের বা দেশের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে তারা কখনও দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের সেনাবাহিনী কিয়েভের কাছে কিয়েভ হস্তমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
তারা দাবি করছে, ইউক্রেন বিশেষ বাহিনীর ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং রাশিয়ার পক্ষে কেউ হতাহত হয়নি। ইউক্রেন সামরিক যান কিয়েভে চারপাশ থেকে ঢোকা রুশ সৈন্যদের প্রতিহত করতে শহরে ঢুকেছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের ১৮ হাজার বন্দুক দেওয়া হয়েছে এবং তাদের ককটেল বোমা বানানোর পদ্ধতি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক যান কিয়েভের চারপাশ থেকে ঢোকা রুশ সৈন্যদের প্রতিহত করতে শহরে ঢুকেছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান তাদের আকাশ ব্যবহার করতে পারবে না।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বলছে, তাদের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী এক লাখ মানুষ ইতোমধ্যে ইউক্রেনে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। যুদ্ধ বাড়লে তারা আশঙ্কা করছেন, ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।