বগুড়ার কাহালুতে এক কিশোরীকে (১৬) বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণের দায়ে আবদুস সামাদ (৬০) নামে এক মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার দীর্ঘ ১৬ বছর পর সোমবার দুপুরে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আবদুস সামাদ বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাসেন আলী ওরফে মুলকা প্রামাণিকের ছেলে। গত ২০০৬ সালের ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রতিবেশীর কিশোরী মেয়ে তার মুদি দোকানে কিছু কেনাকাটা করতে আসে। এ সময় সামাদ তাকে তার বাড়িতে পান পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন।
সরল বিশ্বাসে কিশোরী পান দিয়ে সামাদের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। তখন সামাদ তাকে অনুসরণ করেন এবং একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে তাকে একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ভিকটিমের মা ২০০৬ সালের ২৩ জুলাই কাহালু থানায় আবদুস সামাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। কাহালু থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুধন বড়ুয়া ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে একমাত্র আসামি সামাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযুক্ত আবদুস সামাদ গ্রেফতার হলেও পরবর্তীতে জামিন ছাড়া পান।
রাষ্ট্রপক্ষে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আশিকুর রহমান সুজন জানান, সোমবার রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুস সামাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষী পরীক্ষার পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান প্রামাণিক মামলা পরিচালনা করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।