ঢাকার ধামরাইয়ে বাল্য বিয়ে করতে গিয়ে নববধূর হাতের বদলে হাতকড়া পরতে হলো বরকে। তবে জরিমানার টাকা প্রদানের পর ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে প্রশাসনের বারণ সত্ত্বেও বিয়ের আয়োজন করায় মেয়ের বাবাকেও গুণতে হয়েছে মোটা অঙ্কের জরিমানা।

শুক্রবার (৪ মার্চ) পৌরসভার ইউএনও তালতলা কমিশনার মোড় এলাকায় হঠাৎ বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।

এসময় বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা করে পণ্ড করে দেন বাল্য বিয়ের আয়োজন।

জানা গেছে, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে শামীমা আক্তার রিয়া হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ১৮ বছর পূর্ণ না হলেও রাজ্জাক আয়োজন করে তার মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার দুনিগ্রামের শাহ আলমের ২৬ বছরের ছেলে সাজ্জাদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় রিয়ার।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বাল্য বিয়ের আয়োজনের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেয়ের বাবাকে বিয়ে বন্ধ করতে বলা হয়। তারপরও আজ বিয়ের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘‘গতকালকে আমাদের কাছে একটা বাল্য বিয়ের গোপন সংবাদ আসে। তখন মেয়ের বাবাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল যেন বিয়ে দেওয়া না হয়। এসিল্যান্ড তাদের নিষেধ করেছিলেন। তখন তারা বলেছিলো বিয়ে দেবে না। তারপরও আজ তারা বিয়ের আয়োজন করেছে।

‘আজকে বিয়ের সংবাদ পেয়ে আমরা বিয়ে বাড়িতে যাই। এসময় বাল্য বিয়ের অপরাধে মেয়ের বাবাকে ৫০ হাজার ও বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন উভয়পক্ষ। এসময় মেয়ের বাবার কাছ থেকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবেন না বলে মুচলেকা নেওয়া হয়।’