বেনাপোলে বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় মাদক ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানিতে সহযোগিতার অভিযোগে দুই সিঅ্যান্ডএফের লাইসেন্স বাতিল ও মামলা দায়ের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও চলছে ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি।

(৬ মার্চ) বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করা হয়েছে। এতে শনিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে এ পথে ভারতের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও পণ্য খালাস কার্যক্রম। ফলে বন্দরে শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে।

এর আগে গত বুধবার সকালে বেনাপোল বন্দর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করেন কাস্টমস সদস্যরা। পরে ট্রাক তল্লাশি করে বৈধ পণ্যের সঙ্গে রাখা বিপুল পরিমাণে ফেনসিডিল, মদ, সিগারেট, বোমা তৈরির সরঞ্জম এবং মিথ্যা ঘোষণার পণ্য উদ্ধার করা হয়। মাদকের চালান প্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুফ লিমিটেড নামে দুই সিঅ্যান্ডএফের লাইসেন্স বাতিল ও এক কর্মচারীর নামে পুলিশে মামলা দায়ের করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে বড় ধরনের বাণিজ্য হয়। কর্মবিরতিতে দুদিন ধরে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে হাজারেরও অধিক ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। আটকেপড়া আমদানি পণ্যেও মধ্যে শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য রয়েছে এবং রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য রয়েছে।

কর্মবিরতির বিষয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, কোনো আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ চোরাচালানি করে না। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, কাস্টমস তাদের ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায়ীদের নামে মামলা করেছে। মামলা প্রত্যাহার ও লাইসেন্স বাতিলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে, এ কর্মবিরতি চলবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে বৈধ পণ্যের সঙ্গে অবৈধ পণ্য চালান পাঠাচ্ছে চোরাকারবারিরা। এর সঙ্গে ট্রাকচালকও জড়িত। তবে কাস্টমস তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতে মামলা ও লাইসেন্স বাতিল করেছে। এটি ন্যায়বিচার হয়নি। এ কারণে ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

এদিকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জয়েন্ট কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, মাদক ও অবৈধ পণ্য নিয়ে প্রবেশ করানোর অভিযোগে সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল, ট্রাক চালক, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের নামে মামলা করা হয়েছে। যখন বৈধ পণ্যের সঙ্গে মাদক বা আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য প্রবেশ করে তখন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

 

 

কলমকথা/ বিথী