৭ মার্চ, ১৯৭১। বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। দিনটির জন্য দীর্ঘ ২৩ বছরের অপেক্ষা। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, নির্যাতন আর জুলুমে পিষ্ট গোটা জাতি। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে গর্জে উঠল একটি তর্জনী, স্বাধীনতাকামী বাঙালি পেলো আলোয় বেরিয়ে আসার চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা। আর সেদিন থেকেই স্বাধীনতা শব্দটি বাঙালি অস্থিমজ্জায় মিশে যায়। অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতি খুঁজে পায় নেতা।

বাংলার ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা হিসেবে বাঙালির পরম আত্মার আত্মীয় হিসেবে আর্বিভূত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিরস্ত্র বাঙালি স্বাধীনতার চূড়ান্ত স্বাদ নিতে মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়ে। রচিত হয় অভিন্ন ইতিহাস, ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের বাংলাদেশের অস্তিত্ব।

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জায় মিশে আছেন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে। মুজিবাদর্শে শাণিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে। বাঙালির মানসপটে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন বাসনা এমনিতেই স্থান পায়নি।

মানুষের ভালোবাসার সর্বোচ্চ স্থান কেড়ে নিতে টুঙ্গিপাড়ার খোকা হয়ে উঠেছিলেন মহানায়ক। জীবনের কৈশোর, যৌবন পুরোটা সময়ই বাঙালির অধিকার আদায়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ৫৫ বছর জীবনে ১৪ বছরের জেল আর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতন কোনোভাবেই বাংলাকে মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় থেকে ফেরাতে পারেনি। তাই তো কেবল পাহাড়সম সাহস আর প্রবল ইচ্ছাশক্তির কারণে ১৯৭১ সালের এই দিনে (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিরস্ত্র বাঙালিকে স্বাধীনতার চূড়ান্ত শপথে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগণবিদারী স্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত পত করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। শপথের লক্ষ বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে।

সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বেলা ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।

তিনি দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি—।’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই— আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিকনির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে ২৩ বছরের শোষণ আর নির্যাতনে পিষ্ট বাঙালি জাতির আলোর মশাল খুঁজে পায়।

স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা— ইউনেস্কো। জাতির পিতার সব অনুভূতি ছিল এ দেশের মানুষের প্রতি। বাঙালি জাতির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর অদম্য সাহস আর বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, ত্যাগ, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকা সম্বলিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক হয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে ’৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্মলাভ, ’৪৮-এর মার্চে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে আন্দোলন, ’৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম, ‘বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ‘চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ১১ দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিরঙ্কুশ বিজয়সহ ইতিহাস সৃষ্টিকারী নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ৭ মার্চ এসেছিল— শত বছরের বঞ্চনার শিকার পথ হারানো বাঙালির আলোকবর্তিকা হয়ে। সেদিন একটি কণ্ঠের ধ্বনিতে সুর মেলায় গোটা জাতি, হয় পরাধীনতামুক্ত। আজো প্রতিটি বাঙালি প্রাণে বাজে ৭ মার্চে সে বজ্রকণ্ঠ। সেদিনের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিশপথে বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে বিশ্বাসঘাতকদের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। পরবর্তীতে অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি স্বৈরশাসক স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার বিকৃত ইতিহাস ও মূল্যবোধের বিস্তার ঘটানোর পাঁয়তারা চালায়। খুনিরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির অনির্বাণ হয়ে প্রজ্জ্বলিত থেকেছে প্রতিটি বাঙালি হূদয়ে। বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতির অবিভাজ্য সম্পর্কের কোনো পরিসমাপ্তি ঘটেনি। জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী নেতাকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে আসছে।

বিগত বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সাথে তুলনা করেছিলেন। ক্যাস্ট্রো বলেন, ‘আমি হিমালয়কে দেখিনি, তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি’। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি ছিলেন হিমালয় সমান।

সুতরাং হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা আমি লাভ করেছি। শ্রীলঙ্কার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা (নৃশংস হত্যার শিকার) বাংলাদেশের এই মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সব কিছুকে ছাপিয়ে যান, তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেদিনের সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চারদফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাকে বললেন, জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাকে বললেন, তুমি তোমার কাজ করো। আমি তাদের নেতা, আমি তাদের পরিচালিত করব, তারা আমাকে নয়।’

আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে তার রাজনৈতিক কর্মসূচি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করেছেন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই পুরো বাঙালি সেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং জীবন দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পুরো বাঙালির মুক্তির সনদ উল্লেখ্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে পুরো বাঙালির স্বাধীনতার রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন— ‘আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি, তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে।’

বঙ্গবন্ধু জানতেন, পাকিস্তান কোনোদিন বাঙালিদের দাবি মেনে নেবে না। অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন ও দুঃশাসন বন্ধ করবে না। যুদ্ধ ছাড়া পাকিস্তানের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই ৭ মার্চ ভাষণের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত রূপরেখা বলে দিয়েছিলেন। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আ.লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সব সহযোগী সংগঠন আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা সাড়ে ১১ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আ.লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২ উপলক্ষে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য একটি ই-পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুর উক্তি নিয়ে ই-পোস্টারের শিরোনাম করা হয়েছে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’