রংপুরের পীরগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ে অভিযুক্ত আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার বেলা ১টার দিকে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় অভিযুক্ত আসামি আদালতের এজলাসে উপস্থিতি ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে নিজ বাড়িতে মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন বাবা। এরপর ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতিও দেখান।
পরে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে স্কুলপড়ুয়া মেয়েটি ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট ধর্ষণের অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী।
পীরগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই দেবাশীষ কুমার রায় তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত প্রায় তিন বছর ওই মামলার বিচারকাজ শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মাহফুজুল ইসলাম। তিনি যুগান্তকে বলেন, ঘৃণ্য এ অপরাধের কারণে পুরো পরিবারটি ক্ষতিগ্রস্ত। সামাজিক এ অবক্ষয় রোধে ধর্মীয় ও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। তবে আসামির ফাঁসির আদেশ আশা করেছিলাম।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।