সাকিব আল হাসান। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না টাইগার এ অলরাউন্ডারের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পর ম্যাচ খেলার চেয়ে মিসই করেছেন বেশি। তবে গুঞ্জন আছে, দেশের ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকদের বাড়তি ছাড় পাওয়ার কারণেই বারবার ছুটি চান। এমনকি দেশের খেলা বাদ দিয়ে তার আইপিএল খেলারও নজির আছে।
এবারের আইপিএলের নিলামের আগেও ছুটি চেয়েছিলেন। তখন হয়তো তিনিও ভাবতে পারেননি দুইবার ড্রাফটে নাম উঠার পরেও এভাবে অবিক্রিত থেকে যেতে হবে। তবে আইপিএলে তার দল না পাওয়ার পর নতুন করে শুরু হয়েছে আরেক নাটক। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তার থাকা না থাকা নিয়ে একেকবার একেকরকম কথা শোনা যায়। শেষমেশ তাকে রেখে স্কোয়াড ঘোষণার পরও বিশ্রামের জিগির তুলেছেন টাইগার এ অলরাউন্ডার।
এদিকে, নতুন করে সাকিবের এমন নাটকে ত্যক্ত-বিরক্ত বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রশ্ন তুলেছেন আইপিএলে দল পেলে কি সে এভাবে মানসিক বিপর্যস্ততার কথা বলতো?
এদিকে, সাকিব প্রসঙ্গে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও এবার প্রিয় শিষ্যকে নিয়ে হার্ডলাইনে। তিনি বলেন, বারবারই এমন করতে পারে না সাকিব৷ আমার মনে হয় এবার ফুলস্টপ করা উচিত৷ এটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আরও বলেন, দেশের ক্রিকেটের প্রয়োজনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের না পাওয়াটা দুঃখজনক। সাকিব ফিরলে তার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা হবে। কারো জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট বসে থাকবে না।
এদিকে, সাকিবের এমন আচরণে খুশি নন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সবারই মত, সাকিবের বিষয়ে নতুন করে ভাবা দরকার বোর্ডের। সে খেলতে না চাইলে তাকে বাদ দিয়েই ভাবা উচিত। তারপরই গুঞ্জন উঠেছে, কয়েকদিনের মধ্যেই সাকিবকে নিয়ে নতুন ঘোষণা আসতে পারে।
সব ফরম্যাটে খেলার জন্য লিখিত দিয়েও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন ক্রিকেটাররা। শুধু সাকিব আল হাসান নন এই তালিকায় আছেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও! এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন অপেশাদার সিদ্ধান্তে বোর্ড বিপাকে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।