অনেক বাড়ির রান্নাতেই অতিরিক্ত পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। অনেকেরই আবার খাবার পাতে পেঁয়াজ না থাকলে ঠিক জমে না! বিভিন্ন কারণে অনেকেই বাড়িতে সব সময় পাঁচ-দশ কেজি পেঁয়াজ মজুত রাখেন। তবে বেশ কয়েক দিন পরই সেই পেঁয়াজের ঝাঁঝ চলে যায় কিংবা পচন ধরতে শুরু করে। জেনে নিন পেঁয়াজ সংরক্ষণের সেরা ৩ উপায়।
শুকনো জায়গায় রাখতে হবে
খোসাসহ পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গা বেঁছে নিন। তবে অন্ধকার নয়, আলো-বাতাস চলাচল করে-এমন জায়গায় ছড়িয়ে রাখতে হবে পেঁয়াজ। বাজার থেকে কিনে আনার পর প্লাস্টিকের প্যাকেট থেকে বের করে খবরের কাগজ বা পাটের বস্তায় রেখে দিলে পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এ ছাড়াও ঝুড়ি, বাঁশের পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন।
ফ্রিজে সংরক্ষণ
পেঁয়াজ ফ্রিজেও সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু ফ্রিজের অন্যান্য খাবারে গন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখতে চান না। অনেকের ফ্রিজেই আলাদা জায়গা থাকে পেঁয়াজ রাখার জন্য। সেখানে রাখতে পারেন। ভুলেও অন্য শাক-সবজির সঙ্গে পেঁয়াজ রাখবেন না।
বেরেস্তা বানিয়ে রেখে দিন
পেঁয়াজের অনেকগুলো খোল থাকে। যদি মনে করেন পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে, তা হলে সবের আগে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে খারাপ অংশটুকু ফেলে বাকিটা কুচি করে কেটে নিন। এবার ডুবো তেলে লাল করে ভেজে টিস্যু পেপারে তুলে রাখুন। তেল শুকিয়ে গেলে একটি পাত্রে ভরে ঠান্ডা করে নিন। ভেজে রাখা বেরেস্তা ফ্রিজে তুলে রাখুন। রান্নায় বেরেস্তা ব্যববার করলে স্বাদ অনেকখানি বেড়ে যায়।
পেঁয়াজে কালো দাগ দেখা দিলে কিংবা চারা বেরোতে শুরু করলে বুঝবেন পেঁয়াজে পচন ধরেছে। পেঁয়াজে হাত দিয়ে যদি দেখেন সেটি নরম হয়ে গেছে, তা হলে তা ব্যবহার করবেন না। রান্নার স্বাদও খারাপ হবে আর শরীরের ক্ষতিও করবে।
কলমকথা/ বিথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।