গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ঘোষণার সাথে সাথে জেলাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে নয় বরং সদর উপজেলার রুহিয়া থানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আওতাধীন ৬ ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
গতকাল সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত অনুমোদন পাওয়ায় প্রথমে আনন্দ মিছিল। পরে রুহিয়া চৌররাস্তায় একটি সমাবেশ হয়।
রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহব্বায়ক আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রুহিয়া ১নং আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
সমাবেশে বক্তারা ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানাটি নতুন থানা হওয়ায় এখানে কোন বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। তাছাড়া জেলা শহরে সরকার কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ সহ অনেক বড়-বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়াও রুহিয়া থানা এলাকার সঙ্গে পার্শবর্তী বিভিন্ন জেলার সড়ক ও রেল যোগাযোগ যেহেতু ভাল সেক্ষেত্রে রুহিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
নেতারা আরো বলেন, আমরা সব সময়ই বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের নেতা সফল মন্ত্রী এমপি রমেশ চন্দ্র সেন দিন-রাত ঠাকুরগাঁও জেলাকে উন্নায়নের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। রুহিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে ঠাকুরগাঁওয়ের পাশাপাশি পঞ্চগড় বাসীর ও সুবিধা হবে। তাই দুই জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়টি রুহিয়ায় স্থাপনের অনুরোধ জানান ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক সবুজ মাহামুদ, হেলাল হোসেন, রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো: জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ার হোসেন সহ রুহিয়া থানা ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।