ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে তীব্র আসন সংকটের ‍মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মধ্য রাত থেকেই একের পর এক শিক্ষার্থী ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আসা শুরু করেন।

কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ব্যাগের স্তুপ। বেশ কিছুক্ষণ পরিস্থিতি বুঝে জানা গেল ব্যাগ রাখার কারণ। এক শিক্ষার্থী জানান, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রবেশের জন্য সবসময়ই লাইন ধরতে হয়। করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধ ছিল চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও।

এখন সবকিছু শুরু হওয়ায় চাপ বেড়েছে। ওই শিক্ষার্থী বলেন, আগে ভোর ৬টার দিকে লাইনে দাঁড়ালে ৩০-৪০ জনের পেছনে থাকতাম। আর এখন এলে ৩০০-৪০০ জনের পেছনে দাঁড়াতে হয়। আটটায় গ্রন্থাগারে প্রবেশের আগ পর্যন্ত গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হওয়া লাইন ডাকসু, কলাভবন ছাড়িয়ে আবার ইউ (U) আকৃতিতে লাইব্রেরি পর্যন্ত আসে।

মেয়েদের লাইন যায় ডাকসু ভবন পর্যন্ত। তাই গভীর রাতে এসে ব্যাগ রাখতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরুদ্দিন মুন্সী জানান, শিক্ষার্থীরা চাইলে সকালে এসেও লাইন ধরতে পারে। কিন্তু তারা রাতের বেলায় লাইন ধরে নিজের আসন নিশ্চিত করার জন্য।

চাহিদার তুলনায় লাইব্রেরিতে আসন কম। তাই এই মুহূর্তে আমরা কিছু করতে পারছি না। বলেন, গ্রন্থাগার কমপ্লেক্সের ঘোষণা এলেও এখনো তা একনেকে ঝুলে আছে। কবে নাগাদ পাস হবে, তাও বলতে পারছি না। এই কমপ্লেক্স হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের চাপ কমবে।

 

 

কলমকথা/ বিথী