নারীরা বাইরে বের হলেই বিভিন্ন স্থানে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে থাকেন। নারীদের উত্ত্যক্ত করার এ বিষয়টি নতুন নয়। উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
তবে নারীকে উত্ত্যক্ত করলে আইনে কী ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না। আর ইভটিজিংয়ের শিকার হলে তাৎক্ষণিক কী করতে হবে তাও অনেক নারী জানেন না।

ইভটিজিং কী?

আইন অনুযায়ী, কোনো নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজকর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, তার নাম ধরে ডাকা বা চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোনো কিছু ছুড়ে দেয়া, ব্যক্তিত্বে লাগে এমন মন্তব্য করা, ধিক্কার দেয়া, তার যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী করা, তাকে নিয়ে অহেতুক হাসাহাসি করা, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ধাক্কা দেয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেয়া, সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে ছাড়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছু নেয়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে গান, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা, পথরোধ করে দাঁড়ানো, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদানের মতো বিষয়গুলো ইভটিজিংয়ের মধ্যে পড়ে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এই যুগে মুঠোফোন ও ই-মেইলের মাধ্যমেও ইভটিজিং হয়ে থাকে।

কী করবে

ইভটিজিংয়ের শিকার হলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় গিয়ে দ্রুত বিষয়টি অবগত করতে হবে। লিখিত অভিযোগও করা যেতে পারে।
থানায় যদি অভিযোগ না নেয় সরাসরি আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ আছে।

কেউ ইভটিজিংয়ের শিকার হলে আশপাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সঙ্গে সঙ্গে অবগত করা উচিত।

তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত যদি হাতেনাতে প্রমাণ পান, তা হলে ঘটনাস্থলেই শাস্তি আরোপ করতে পারবেন।

 

লেখক : আইনজীবী
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট।