ক্রিকেটে তিন সংস্করণের কোনোটিতেই এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। জয়খরা ঘুচল অবশেষে।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ওডিআইতে বাংলাদেশ ৩৮ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
সেই জয়ের রেশ মিলিয়ে না যেতেই আজ জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডে। আজ দুপুর ২টায় স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে তামিম বাহিনী। আজ জয় পেলে সিরিজ বাংলাদেশের মুঠোয়।
সেই আশায় মাঠে নামবেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দলের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের কণ্ঠেও সিরিজ বিজয়ের আশা। রঙধনুর দেশে প্রথম ম্যাচ জেতার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তা হলে সিরিজ জয় নয় কেন?
কোটিভক্তের চোখ এখন ওয়ান্ডারার্সে। জোহানসবার্গের এই ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ড রীতিমতো ব্যাটিং স্বর্গ। একদিনের ক্রিকেটে ৪০০ ছাড়ানো সংগ্রহ আছে তিনটি ম্যাচ। ৩০০ ছাড়ানো ইনিংস আছে সাকুল্য ১৯টি। তবে স্পিনারদের জন্য সহায়ক হতে পারে ওয়ান্ডারার্সের উইকেটের চরিত্র।
সেসব চিন্ত করে এ ম্যাচে কেমন একাদশ নিয়ে নামবেন তামিম বাহিনী? ব্যাটিংয়ে সাকিব, লিটন, মুশফিক, রিয়াদ, আফিফ তো আছেনই, প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং-ফিল্ডিং করা নবাগত ইয়াসির আলী রাব্বিকেও বসিয়ে রাখা যাবে না। ওদিকে স্পিন-অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ তো দলের অপরিহার্য। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি পিচে তিন পেসার ছাড়া মাঠে নামা বোকামিই হবে।
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বল করা তাসকিন আহমেদ থাকছেন। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান সেভাবে জ্বলে না উঠলেও তার বিকল্প নেই আপাতত।
তবে প্রথম ম্যাচে পেসার শরিফুল ইসলাম চোট পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য তিনি ফিট রয়েছেন। তাই তিনিও থাকছেন হয়তো।
অর্থাৎ সিরিজ জয়ের মিশনে এ ম্যাচে টাইগার একাদশে পরিবর্তন না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। উইনিং কম্বিনেশন না ভেঙে আগের ম্যাচের একাদশই মাঠে নামাবে সফরকারী শিবির।
এক নজরে বাংলাদেশ দলের সম্ভাব্য একাদশ—
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি রাব্বি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।