মোঃ ছামিউল ইসলাম,জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জাগো নিউজ২৪.কমের সাংবাদিক নাসিম উদ্দিনের বাসায় চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনার একদিন না যেতেই ঘরের দরজা ভেঙে চাল, ডাল, সরিষা তেল, কম্বলসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৯ মার্চ) দিনগত রাতে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বীরবড়বাড়ীয়ার পাট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার খুবই শঙ্কিত বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্নস্থানে চুরি-ছিনতাই ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র সন্ধ্যার আগে কৌশলে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে খাবারের সাথে এবং রুমের মধ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে রাখে। রাতে পরিবারের লোকজন অচেতন হয়ে পড়লে চোর চক্র জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল মধ্য রাতে বাড়ির গোলাঘরের তালা ভেঙে চাউল, ১০ কেজি সরিষার তেল, কম্বল, কাথাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র খোয়া যায়। এর আগে, বুধবার দিনগত রাতে ঘরে স্প্রে করে জানালার গ্রিল কেটে সাংবাদিক নাসিম উদ্দিনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগেও সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হরেকের শিমলাপল্লীর নিজবাসায় দিনেদুপুরে মালামাল চুরি হয়ে যায়।

এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও প্রতিকার না থাকায় ভুক্তভোগীরা পুলিশের দ্বারস্থ হতেও চান না বলে অনেকেই জানান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে কর্মরত হাবিবুর রহমানের ছেলে আতিক রহমান বলেন, এই ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার খুবই শঙ্কিত। তিনি বলেন, ভাগ্য ভালো তাদের থাকার ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে নি। প্রতিদিন সরিষাবাড়ীতে এমন চুরির ঘটনায় মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, কবে কার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটবে তা আমরা কেউ জানি না। পুলিশ এ ব্যপারে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা তাদের জানা নেই। অনেকের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, এমনকি তাদেরকে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে জীবনকেও হুমকিরমুখে ফেলে দিচ্ছে। বিষয়টি যতদ্রুত সম্ভব প্রতিকারের দাবি জানান তিনি।

এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, ‘ এব্যাপারে এখনও কোন ধরনের অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি স্থানে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে চুরির ঘটনার কথা শুনেছি। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জোরদারের কথা বলেছি।