মাওলানা ফজলুর রেহমান, শাহবাজ শরীফ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তিনজন কাপুরুষ আমাকে অভিশাপ দিচ্ছেন এবং ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি পরিষ্কার করতে চাই যে, তারা কখনো এই অসৎ মিশনে সফল হবেন না।
তিনি পূর্বাভাষ দেন পাকিস্তানের রাজনীতিতে নওয়াজ শরীফ পরিবারের ভূমিকা শেষ হয়ে গেছে। তারা এখন তাদেরকে শুধু ‘বৃটিশ রাজনীতি’তে যুক্ত করছে। তার ভাষায়- যদি এই পরিবারটি বৃটিশ রাজনীতি করে দেশে, তাহলে দেশ ঋণখেলাপি হবে তাদের দুর্নীতির কারণে।
আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে শিগগিরই তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে ঋণ চাইবে। গতকাল শুক্রবার (২৫ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন। নিজের দল পিটিআইয়ের যেসব পার্লামেন্ট সদস্য প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাদের উদ্দেশে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের রাজধানীতে যে হর্স-ট্রের্ডিং বা দলবদলের কেনাবেচা চলছে তা ২৫ কোটি রুপিতে উঠেছে।
আমার চরিত্র হননের জন্য প্রতিজন পার্লামেন্ট সদস্যকে আরও বেশি অর্থ প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে, পার্লামেন্টে উঠেছে অনাস্থা প্রস্তাব। প্রস্তুত বিরোধীরা। প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মহারণে কে জিতবে, কে হারবে তা বলা কঠিন। এ অবস্থায় যারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। তিনিও জনসমর্থন প্রদর্শনের জন্য বিশাল জনসমাবেশ আহবান করেছেন। সেখানে নিজে দলীয় নেতাকর্মীদের ঢল নামানোর আহবান জানিয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।