বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি- চলতি শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুমে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় কাঁচামরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেতের গাছ থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে এবং তা বাজার জাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী শ্রমিকরা।
বিরামপুর উপজেলায় এবার ১০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। কৃষকরা এই মরিচ বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছেন।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিরামপুর উপজেলার চক হরিদাসপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের প্রতিটি গাছে প্রচুর মরিচ ধরেছে। ছোট ছোট গাছের সবুজ পাতার নিচে ঝুলছে সবুজ-লাল কাঁচা মরিচ। বাজার জাত করার মতো হয়েছে প্রতিটি গাছের মরিচ। এক মণ মরিচ তুলতে পারলে শ্রমিকরা পান ১২০ টাকা। তাই গ্রামের ৮ থেকে ১০ জন নারী একত্রে হয়ে ক্ষেতের মরিচ তোলার কাজ করছেন।
এদিকে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। লাগানোর ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে গাছে মরচি ধরতে শুরু করে। এর ১৫ দিন পরপর ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে হয় কৃষককে। এক বিঘা জমিতে প্রতিবার প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মণ মরিচ পেয়ে থাকেন চাষীরা।
বর্তমান কাঁচা মরিচ চাষ করে যেমন লাভবান হচ্ছেন কৃষক, তেমনি স্থানীয় নারীদেরও একটা কর্মসংস্থান হচ্ছে। মরিচ তুলা নারী শ্রমিক সখিনা বেগম বলেন, ‘আমরা গ্রামের বিভিন্ন মরিচ ক্ষেতে মরিচ তুলার কাজ করি। প্রতিটি ক্ষেতে ১৫ দিন পর পর কাজ করি। এতে আমাদের অনেক উপকার হয়। সংসারে সব কাজের পাশাপাশি আমরা এই কাজটিও আনন্দের সঙ্গে করে থাকি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।