‘ক্ষমা করে দিস মা; তোকে সুস্থ ছেলেবেলা দিতে পারিনি।’—কন্যা মাইয়্যা সান্যালের কাছে ক্ষমা চেয়ে কথাগুলো বলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বুধবার (৩০ মার্চ) শ্রীলেখা ফেসবুকে তার কন্যার একটি ছবি পোস্ট করে এই অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
শ্রীলেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি সামাজিক বা ইন্ডাস্ট্রির নানা বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন তিনি। নানা মুহূর্তে তোলা নিজের ছবিও নিয়মিত পোস্ট করেন। কিন্তু মেয়ের ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় না তাকে। কারণ তার মেয়ে এটা পছন্দ করেন না। তারপরও আজকের ছবিটি মেয়েকে না জানিয়েই পোস্ট করেছেন তার ভালো লাগা থেকে। তা ছাড়া মাইয়্যা শ্রীলেখার পোশাক পরে ছবিটি তুলেছেন, যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
কিন্তু এতদিন পর কেন মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন শ্রীলেখা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন—‘‘এটা এক দিনের আফসোস নয়। শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে যখন বিচ্ছেদ হয় মাইয়্যার বয়স তখন মাত্র ৮ বছর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা-বাবাকে আলাদা বাড়িতে দেখতে শুরু করে। মাইয়্যাকে আমাদের বিভেদ থেকে দূরে রাখব বলেই ঝগড়া করার সময়ে দরজা বন্ধ করে রাখতাম। আলাদা হওয়ার একদম শুরুতে এটুকুই বলতে পেরেছিলাম—‘মা, তোমার যখন যার কাছে থাকতে ইচ্ছে করবে, থেকো। মা-বাবার দরজা তোমার জন্য সবসময় খোলা।’ সত্যিই তো আমরা ওকে সুস্থ ছেলেবেলা দিতে পারিনি! সেদিনও মাইয়্যার কোনো অনুযোগ ছিল না। চুপচাপ সব মেনে নিয়েছে।’’
সিঙ্গেল মাদারের জার্নির অভিজ্ঞতা জানিয়ে শ্রীলেখা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে আমারই প্রথম বিয়েবিচ্ছেদ হয়েছে। ফলে, ‘একা মা’ হওয়ার অভিজ্ঞতা দেখে শিখিনি, ঠেকে শিখেছি। একা হাতে ঘর-বাহির সামলাতে গিয়ে নাকের জলে চোখের জলে হয়েছি। সব সময়ই যে মেয়ের সবকিছু পূরণ করে উঠতে পেরেছি, এমনো নয়। মাইয়্যা কিন্তু তা নিয়েও অভিযোগ করেনি। আমার ট্যাব চাই, নোট প্যাড চাই, অমুক তমুক বলতে শুনিনি।’
শ্রীলেখার পোশাক পরার কারণ ব্যাখ্যা করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ক্রিম মাখা, চুল বাঁধা কিংবা পড়াশোনা—এসবের চেয়ে ভালো সিনেমা দেখার পেছনে সময় ব্যয় করতে বেশি আগ্রহী মাইয়্যা। ওর অঢেল পোশাক, জুতা, গহনা, সাজার জিনিসপত্র রয়েছে। তারপরও ওর আমারটাই লাগবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।