অর্থনৈতিক সংকটে তৈরি হওয়াতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। খাদ্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা শুরুর পরেই তা দমনে কারফিউ জারি করা হয়। এর পরদিন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটি।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) সর্বজনীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে একটি গেজেট প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে। এদিন মধ্যরাত থেকে শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশটির পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, জরুরি অবস্থা নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আটকের ক্ষমতা দেয়।
বেশ কয়েক মাস ধরে খাবার, অর্থ, তেল ও বিদ্যুতের সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। ক্রমেই পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। এর প্রতিবাদে গত মাস থেকে বিক্ষোভ হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৫৩ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ, আটকদের মধ্যে পাঁচজন ফটো সাংবাদিক রয়েছেন। তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে পুলিশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।