মোঃ তাহেরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোকানদারকে কান ধরে উঠবোস, দাড়ি ধরে থাপ্পড় মাড়ার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বাবুরহাট বাজারের ব্যাবসায়ীগন গনস্বাক্ষরে একটি লিখিত অভিযোগে দিয়েছে দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান।
তিনি বলেন, সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এলাকার বাইরে আছেন।তাদেরকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করেছি।

গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ডিমলা-রংপুর মহাসড়কের আলম পেট্রলপাম্প মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্যাবসায়ী ও পথচারী সূত্রে জানা যায়,গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলম পেট্রলপাম্প মোড় সংলগ্ন এলাকায় সড়কে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম মোটরসাইকেলের মেকানিক ধনন্জয় কে কান ধরে উঠবোস করান। এ সময় পথচারী বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

ভুক্তভোগী ধনন্ঞ্জয় জানান(৪০),আমি রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ওসি সাহেব বিনা কারণে আমার পথরোধ করে কান ধরায়। আমি লজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এর বিচার চাই।
বিজয় চত্বর এলাকার গালামাল ব্যাবসায়ী আমিনুর জানান, রাতে ওসি সাহেব আমার দোকানে আসেন।এতো রাতে কেন দোকান খোলা রেখেছি বলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার দাড়ি ধরে চড় থাপ্পড় মারার হুমকি দেন।
ঈশ্বর চন্দ্র নামে ব্যাবসায়ী জানান, ওসি সাহেব ৩০/৩৫ জন ব্যাবসায়ীকে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ বিভিন্ন হুমকি দেন।এমনকি ব্যাবসায়ীর পশ্চাদপদে বালু দিয়ে যৌন নির্যাতনের হুমকি দেন।
বিজয় চত্বর এলাকার ব্যাবসায়ীরা জানান, আমরা সামান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সামান্য পুজির টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা।কিন্তু ওসি সাহেব আমাদেরকে নিরাপত্তা না দিয়ে মা-বোন তুলে গালিগালাজ, কান ধরে উঠবোস, দাড়ি ধরে চড় থাপ্পড় মারার চেষ্টাসহ তার অশ্লীল মন্তব্য বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্তৃক এভাবে আক্রমণাত্মক আচরণের সম্মুখীন হলে আমরা নিশ্চিন্তে ব্যাবসা বানিজ্য করতে পারবো না। এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করে আমরা ব্যাবসায়ীগন গণস্বাক্ষরে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিমলা দোকান মলিক সমিতিসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বিচার না পেলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি ।