নড়াইলের লোহাগড়া বাজার গুলাতে রমজানের প্রথম দিন থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল দ্বিগুণ মূল্যবৃদ্ধি।

সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ার অজুহাতে রোজার প্রথম দিনে পাইকারি বাজারে ৪০ টাকার শসা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
মরিচের দামও বাড়লো কেজিতে ২০ টাকা।
পাইকারি বাজারের এই লাফ ঝাঁপের প্রভাবে খুচরা বাজার হয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন, দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা।

গেল সপ্তাহে ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া শসা ও বেগুন রোজা শুরু হতেই বিক্রি হয়েছে ৭০/থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি।

শসার পাশাপাশি কেজিতে কিছুটা বে‌ড়ে‌ছে ছোলা, চিনি, চাল, খেজুর, মুরগি এবং গরু-ও খা‌সির মাংসের দাম, তবে মাছের দাম বাড়েনি।

বাঙালির ইফতার আয়োজনের অন্যতম অনুসঙ্গ মুখরোচক খাবার ভাজাপোড়া । এ কারণে রোজা এলেই সব যায়গায় বেগুনের কদর বেড়ে যায় অনেকটা।
প্রতি বছর বাজারের ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ নিতে ভুলেন না।

রমজানে বেগুন নিয়ে নানান কারসাজি নতুন কিছু নয়। এবার ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চাহিদা বুঝেই একদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেগুনের দাম দ্বিগুন।

দুদিন আগেও বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। আর এক সপ্তাহ আগে ছিল আরও কম।

বেগুনের পাশাপাশি কাঁচা মরিচেও। এক রাতের ব্যবধানেই কেজি প্রতি বেড়েছে ২০/৩০ টাকা।

ব্যবসায়ীদের সেই পুরনো অজুহাত। চাহিদা বেশি, তাই দামও বেশি। লোহাগড়া বাজারের আড়ৎ ঘুরে সরবরাহের কোনই ঘাটতি দেখা যায় নাই।

বিক্রেতারা জানান, প্রতি রমজানে বেগুনের চাহিদা বেশি থাকে, তাই দামও বেশি পাওয়া যায়।

রমজান মাস জুড়ে বিকাল থেকে দোকানের সামনে টেবিল বসিয়ে বিক্রি হয় হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী। এর মধ্যে বেগুনিও থাকবে।

দামের হেরফের ছিল লেবুতেও। শরবত খাওয়ার উপযোগী লেবু প্রতি হালি দেশি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০/৭০ টাকা। এই দামে এর আগে মিলছে লেবু এক ডর্জন।

এখন এই দামের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন সাধারণ ক্রেতারা।