কেশবপুরে শিক্ষক-শিক্ষিকার মেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন তনিমা (১৯) নামের এক শিক্ষার্থী মেডিকেলে চান্স না পেয়ে অভিমান করে বাড়ী থেকে চলে গেছে। ৬ এপ্রিল (বুধবার) দুপুরের দিকে পৌরসভার সাবদিয়া গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে চলে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে।

ওই শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে গেছে বলে স্বজনদের দাবী।

বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার ব্যাপারে ওই ছাত্রীর পিতা পরচক্রা হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের ছাত্রী। এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় মেডিকেলে পড়ার সুযোগ না পাওয়াতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

আমরা কেশবপুর পৌরসভার সাবদিয়া গ্রামে ভাড়াটিয়া বাসায় থাকি। আমাদের ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করছিলো সে। আমরা দুজনেই শিক্ষক ও শিক্ষিকা হওয়ায় সকালে স্কুলে গিয়েছিলাম, বাসায় ছিলো তার বড় বোন। আমার বড় মেয়ে গোসল করতে গেলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়ী থেকে কালো রঙের বোরকা পরে সে বেরিয়ে যায়।

পরবর্তীতে জানতে পেরে আত্বীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে মেয়েকে না পেয়ে বুধবার রাতে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার ডায়েরি নম্বর-২৬০।

কোন হৃদয়বান ব্যক্তি মেয়েটির সন্ধান পেলে তার পিতা শিক্ষক জুলফিকার আলীর ব্যবহৃত ০১৭৩৯৬৪৯৫৩৫ নম্বরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করেছেন।

এব্যাপারে কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত অব্যাহত আছে।