ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সম্পূর্ণ দেশি অর্থায়নে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু মানমন্দির। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মানমন্দির ও পর্যটন কেন্দ্রটি নির্মিত হলে কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

কর্কটকান্তি, মকরকান্তি ও বিষুবরেখা নিয়ে পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে তিনটি রেখা কল্পনা করা হয়। আর উত্তর-দক্ষিণে আছে চারটি রেখা- শূন্য ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি, ১৮০ ডিগ্রি এবং ২৭০ ডিগ্রি। রেখাগুলো মিলে পৃথিবীকে ১২টি জায়গায় ছেদ করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ ওই ১২টি বিন্দুর ১০টিই পড়েছে সাগর-মহাসাগরে। একটি সাহারা মরুভূমিতে; সেখানেও মানুষ যেতে পারে না। অন্য বিন্দুটি পড়েছে সমতল ভূমিতে; যার অবস্থান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গারদিয়া গ্রামের কৃষিজমিতে।

সেই জমিতেই নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু মানমন্দির। এতে দারুণ খুশি স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানান, “শুধু আমাদের এই ভাঙ্গা নয়, সারাদেশকে মানুষ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মানমন্দির নামে চিনবে। আমাদের লোকজনের কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টি হবে।”

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, “এটাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই আশপাশে জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ বিনির্মাণের দুয়ার উন্মোচিত হবে। মানুষজন উন্নত শিক্ষা পাবে, চিকিৎসা পাবে এবং তাদের জীবনমানের প্রভূত উন্নতি সাধিত হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।”