নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি: বিশ্বব্যাপি মহামারী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের আগ্রাসী থাবায় গোটা মানব সভ্যতা হুমকির মুখে ফেলেদিয়েছিল। সারা বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে এক অজানা আশঙ্কায় আতংকিত করে ফেলেছিল। একদিকে অজানা আতংক আর অন্যদিকে সমাজের অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষ ক্ষুধা নিবারণ আর বেচে থাকার মরণপণ চেষ্টা। এমনি অসহায় অবস্থায় যখন তারা দিশেহারা, অনাহার আর ভবিষ্যৎ চিন্তায় বেদনার জ্বালায় জলন্ত। যে যার চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত আর চিন্তিত। বেশি ভাগ মানুষ কেউ কারও খেয়াল করার মত সময় নেই। মনিরামপুরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সরকারী কিছু নির্দেশনা আর টুকিটাকি গা বাচানোর সহযোগিতা ছাড়া কিছুই ছিল না। জনপ্রতিনিধিদের বেশির ভাগ যখন নিজেরাই নিখোঁজ-ঠিক সেই সঙ্কটময় মুহুর্তে মানবতার সেবায় এগিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন মণিরামপুর পৌরসভার ৩নং সদর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী। ধনী পরিবারের সন্তান না হয়েও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মানতে গিয়ে কার্যত যখন থমকে গেছে জনজীবন।
ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তার যতটুকু সম্ভব ছিল তার থেকে বেশিই মনমানুসিকতা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে সর্বদা তৎপর ছিলেন তিনি। নিজের পারকতার মধ্যে দিয়েই ঘরে ঘরে গিয়ে সমর্থ অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন শ্রমজীবী, অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষের মাঝে। তখন অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্ল্যাভস, এবং জীবাণুনাশক ঔষধসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। মহামারি সেই করোনাভাইরাস থেকে মানুষ এখন অনেকটাই ভারমুক্ত হয়েছেন। শতভাগ না হলেও স্বাভাবিক কাজকর্ম প্রায় শুরু হয়েছে। কিছুটা হলেও মানুষ হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। কিন্তু থেকে নেই মণিরামপুর পৌর সভার জনপ্রিয় কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী। নিজ ওয়ার্ডসহ আশপাশের সাধারণ মানুষদের সেবা করার মানুষিকতা নিয়ে তিনি সদা প্রস্তুত।
সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে প্রচন্ড গরমে পৌর এলাকায় টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতে আসা মানুষদের একটু শান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে নিজ উদ্যোগে তাদের মাঝে ঠান্ডা কোমল পানীয় ও বিস্কুট বিতরণ করেন। অনেকেই তার এ উদ্যোগকে একটি মহৎ কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জানতে চাইলে বাবুলাল চৌধুরী বলেন, মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে-সেবা করার জন্য এগিয়ে আসাটা আমার মন থেকে আসে। মানুষের বিপদ ও অসহায় সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো একজন মানুষ হিসেবে নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করি আমি। আমি যেহেতু একজন মানুষ সুতরাং বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই আমার কর্তব্য। এখানে লাভক্ষতির বিষয়টি ভেবে দেখিনি কখনও। এভাবেই আজীবণ মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।