ধর্ষণের ঘটনা বলে দিতে চাওয়ায় গার্মেন্টকর্মী শারমিন বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর রাজধানীর খিলক্ষেতের তিনশ ফিট এলাকায় মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায় রিকশাচালক সুমন কুমার। রোববার (১৭ এপ্রিল) রাতে খিলক্ষেতের কুড়াতলী কালীবাড়ি মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এর আগে শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর খিলক্ষেতের তিনশ ফিট এলাকা থেকে মাটিচাপা দেওয়া শারমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (১৮ এপ্রিল) র্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতার সুমন কুমার পেশায় একজন রিকশাচালক।
নিহত শারমিন খিলক্ষেতে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সুমন বেশ কিছুদিন ধরে শারমিনের গার্মেন্টস ও বাসায় আসা-যাওয়ার পথে তাকে অনুসরণ করতেন।
১০/১২ দিন আগে শারমিনের সঙ্গে সুমনের প্রথম পরিচয় হয়। চার-পাঁচ দিন ধরে শারমিনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হচ্ছিল তার।
গত ১৩ এপ্রিল নিহত শারমিনকে রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন সুমন। ১৫ এপ্রিল আবারও ঘুরতে বের হওয়ার কথা বলে শারমিনকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেতের তিনশ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে যান। পরে তাকে ধর্ষণ করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।