আফগানিস্তানের কুন্দুজে এক মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে বৃহস্পতিবারও দেশটিতে শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তালেবান সরকারের জন্য আইএসকে মোকাবিলা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আফগানিস্তানের কুন্দুজে ইমাম সাহেব জেলার এক মসজিদে বিস্ফোরণে শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছে। টোলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইট বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ৩০ জনের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে।
ইমাম সাহেব জেলার নিরাপত্তা প্রধান হাফিজ ওমর বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টায় যখন মৌলভি সিকান্দার মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে তখন সেখানে অনেকেই নামাজ পড়ছিল। মসজিদটি একটি ধর্মীয় সভাস্থল হিসেবেও ব্যবহার হয়।
তথ্য ও সংস্কৃতির প্রাদেশিক বিভাগের প্রধান হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে এখন পর্যন্ত হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
এ ছাড়া শুক্রবার কাবুলের পিডি-সেভেনে দুনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে একজন আহত হওয়ার বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে দেশটির চার জায়গায় বৃহস্পতিবারের বোমা হামলায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। মাজার-ই-শরিফ শহরের একটি শিয়া মসজিদে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে, আহত ৮৭ জন।
ইসলামিক স্টেস্ট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তালেবান বলছে, তারা আইএসকে পরাজিত করেছে। কিন্তু গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের কাছে একটি গুরুতর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইএস বলছে, মাজার-ই-শরিফ মসজিদে হামলায় তারা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরিত বুবি-ট্র্যাপড ব্যাগ ব্যবহার করেছে। গোষ্ঠীটির সাবেক নেতা ও মুখপাত্রকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। বাকি তিনটি হামলার বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।
দ্বিতীয় হামলাটি হয় কুন্দুজের একটি পুলিশ স্টেশনের কাছে। গাড়িতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে অন্তত চারজন প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন ১৮ জন।
পূর্ব নাঙ্গারহার প্রদেশের একটি রাস্তায় হয় তৃতীয় হামলা। তালেবানের গাড়িতে মাইন বিস্ফোরণে নিহত হন চারজন। একজনের অবস্থা গুরুতর।
এ ছাড়া রাজধানী কাবুলের নিয়াজ বেইক এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছে।
কাবুলের শিয়া অধ্যুষিত দাশত-ই-বার্চি এলাকার আব্দুল রহিম হাই স্কুলে দুই দিন আগে বোমা হামলা চালানাে হয়। এতে ছয়জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়। এর দায় নেয়নি আইএস।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।