রবীন্দ্রনাথ সরকার, গংগাচড়া উপজেলা (রংপুর) প্রতিনিধিঃ গংগাচড়া উপজেলার পশ্চিম মান্দ্রাইন(কোড়িয়ার মোড়) গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ রাশেদুল ইসলাম(৩২) পড়াশোনা শেষে সে এখন বেকার জীবন যাপন করছে।
তবু ও ছাড়েনি তার সাহিত্য চর্চা। ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়া দেখা যায় তার নিজ অনূভুতি প্রকাশের কিছু কবিতা যা প্রত্যেকটি মানুষের বাস্তব জীবনের সাথে মিলে যাওয়া কিছু উপাখ্যান। এ বিষয়ে লেখক রাশেদুল মিয়া (৩২) তার সাথে কথা বললে তিনি অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলেন
ভাই জীবনে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি এবং অনেকে আমার সাথে প্রতারনাও করেছে তাছাড়া আমি এখনও বেকার ডিগ্রী পাশ করে এবং অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতেছি তাই মনের দুঃখে লিখি
আমি চাই আমার মতো যেন কেউ আর অভাবে না থাকে এবং সুন্দরভাবে জীবন চালাতে পারে তাছাড়াও আমি গোটা পৃথিবী থেকে আমার লিখুনী দ্বারা অন্যায়কারিকে উচ্ছেদ করতে চাই বিশেষ করে বাংলা থেকে হাঙ্গর গুলোকে তাড়াতে চাই।
পরিশেষে তার লেখা একটি কবিতা আবৃতি করে শোনান।
নবীন প্রবীণ
মোঃ রাশেদুল ইসলাম
আছিস যতো নবীন প্রবীণ
যুদ্ধ মাঠে চল,
দল বেধে আজ ছুটতে হবে
বাড়াতে হবে বল।
বেধে নে মাথায় তোরা
বাংলা মায়ের ছবি,
হাতনেড়ে ডাকছে তোদের
জয় ঠাকুরের রবি।
দেশটা আজ হয়েছে শশ্মান
রক্তে গড়া সাগর,
পড়েছে গলে মস্তক মাল্য
দেশীয় কিছু হাঙ্গর।
এ হাঙ্গরে মানুষ খায়
অন্যকিছু নয়,
সর্বক্ষনে মস্তককে দিয়ে
পেট পোকাদের খাওয়ায়।
রক্ত নাকি ভালোবাসে
তাই রক্ত খায় রক্ত চোষে,
মনের আশ পুরণের লাগি
আয়ত্বে কিছু দালাল পোষে।
ঢালে ঘি দালাল গুলো
লোভী হাঙ্গরের পায়,
জুলুম বাজদের আশ পূরণে
দিচ্ছে নানান সায়।
ঐ হাঙ্গরে শয়তান পুজারি
শশ্মানে চাহে বলি,
জীবন নেয়া কঠিন কাজও
ভেবে লহে তারা মামুলি।
আমরা নাকি নহে মানুষ
রাঘব বোয়ালে কহে,
নিম্নশ্রেনীর আছি রে যতো
রাখিতে চাহে তারা ভয়ে।
গড়িয়েছে চাংড়ি
নিয়েছে আসন,
শুনবি রে আর কতো
ঐ হাঙ্গরের ভাষন।
বাহিরে কয় মঙ্গল কথা
অন্তরে বিষ রেখে,
স্বার্থটুকু আদায় কালে
বিষ ছুড়ে দেয় শেষে।
মন্দের বিষ বড়োই কঠিন
মারে হাজারো ঘা,
মরিতে মরিতে যাহে বুঝা
জমেরও বাপ তা।
তাই তোরা আয় ভাই
সময় তো নেই আর,
শশ্মানে ফোটাবো ফুল
খুলিবো নতুন দ্বার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।