ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর যে ঢল করোনাকালের দুবছর দেখা যায়নি, এবার মহামারী পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় পুরোদমে পর্যটকের ভিড় লেগেছে দেশের এই সমুদ্রশহরে।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ঈদের দিন মঙ্গলবার সৈকতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বেড়াতে এসেছেন। দেশের দক্ষিণপ্রান্তের এই শহরের আনাচকানাচ ভরে উঠেছে পর্যটকের ভিড়ে। সকাল থেকেই সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যটকদের এই উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে।
এবারের ঈদের ছুটির সাতদিনে কক্সবাজারে সবমিলে অন্তত ১০ লাখ লোক বেড়াতে আসবেন বলে ধারণা করছে ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
কক্সবাজারে বেড়াতে আসা চট্টগ্রামের বাসিন্দা উত্তম দত্ত জানান, তিনি ঈদের ছুটি কাটাতে সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন। দুদিন বেড়িয়ে মহেশখালীর তীর্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। সরেজমিনে দুপুরে সৈকতের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা যায়, মানুষ আর মানুষ সমুদ্রস্নান সারছেন। সুগন্ধা, সিগাল, লাবণীসহ সব পয়েন্টেই পর্যটকের ভিড়। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় লাগে কলাতলী পয়েন্টে। বিকালের দিকে গোটা সৈকতজুড়ে সবমিলিয়ে ৫০ হাজারের মতো মানুষ জড়ো হয়।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার—টুয়াকের সাধারণ সম্পাদক মুনিবুর রহমান টিটু ঢাকাটাইমসকে জানান, বিপুল মানুষ সমাগম হলেও হোটেল-মোটেলগুলি পুরোপুরি বুকড হয়নি। তবে বুধবারের জন্য বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলই বুকড হয়েছে।
মুনিবুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কতজন পর্যটক বেড়াতে আসবে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া মুশকিল। তবে আমাদের ধারণা করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এবার বিপুল মানুষ কক্সবাজারে বেড়াতে আসছেন।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।