বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘ছুটির শেষ দিন হওয়ায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। সবগুলো ফেরিই চলছে। চেষ্টা করছি ঘাটের লোড-আনলোড ক্লিয়ার রাখতে, যাতে ফেরির ট্রিপ না কমে।
এই রুটে এখন ছোট-বড় ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।’ ঈদের ছুটি শেষে গত দুদিন ধরেই দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রাজধানীতে ফিরছেন। এতে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে এই রুটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার সকালে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালান্দ বাজার স্কুল পর্যন্ত সাত কিলোমিটার যাত্রীবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। প্রতিটি যানবাহনকে ফেরি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। এতে কর্মস্থলমুখী মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
রাজবাড়ী ব্রাক ব্যংকের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি ভোরে রাজবাড়ী থেকে রওনা দিয়ে সকাল ৭টায় ঘাট থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে জ্যামে আটকে আছি। এক ঘণ্টা হয়ে গেল প্রায় সেখানেই আছি। আমি ইর্মাজেন্সি কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম, বুঝতে পারছি না পৌঁছাতে পারব কি না।’
বেনাপোল থেকে আসা সাউদিয়া বাসের যাত্রী তপু বলেন, ‘গত রাতে এসে ঘাটে দাঁড়িয়েছি। এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। ফেরি পর্যাপ্ত চলছে মনে হয় না। এই দীর্ঘ সময় যানজটে দুর্ভোগ হচ্ছে।’
সূবর্ন পরিবহন বাসের সুপারভাইজার আরেফিন বলেন, ‘গতকাল দুপুরে ঘাটে এসেছি। আজ সকাল ৮টা বেজে গেল, এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। কতক্ষণ পর ফেরি পাবো বলতে পারতেছি না। যাত্রীরা সব অস্থির হয়ে উঠেছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘ছুটির শেষ দিন হওয়ায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। সবগুলো ফেরিই চলছে। চেষ্টা করছি ঘাটের লোড-আনলোড ক্লিয়ার রাখতে, যাতে ফেরির ট্রিপ না কমে। এই রুটে এখন ছোট-বড় ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।